ইঞ্জিনিয়ার ইশরাক হোসেনকে ঢাকা দক্ষিণের মেয়র করা নিয়ে চলমান আন্দোলন প্রসঙ্গে বিএনপির জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমেদ বলেছেন, ‘কোর্ট ও নির্বাচন কমিশন ইশরাককে সিটি করপোরেশনের মেয়র হিসেবে ঘোষণা করেছে, গেজেট প্রকাশ করেছে। আজ-কালের মধ্যে ইশরাককে মেয়র হিসেবে শপথ না পড়ালে আন্দোলন অন্যভাবে রূপ নিতে পারে।’আজ সোমবার বিকেলে সিলেট জেলা শিল্পকলা একাডেমি মিলনায়তনে আয়োজিত বিএনপির সিলেট বিভাগের সদস্যদের নবায়ন ও নতুন সদস্য ফরম সংগ্রহ কার্যক্রমের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।২০২০ সালের ১ ফেব্রুয়ারি দক্ষিণ সিটি করপোরেশন (ডিএসসিসি) নির্বাচনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী শেখ ফজলে নূর তাপস মেয়র নির্বাচিত হন। ভোটে কারচুপির অভিযোগ করে ইশরাক আদালতে মামলা করেন। গত ২৭ মার্চ নির্বাচনের ফল বাতিল করে সাবেক মেয়র সাদেক হোসেন খোকার ছেলে ইশরাক হোসেনকে মেয়র ঘোষণা করেন আদালত।
এরপর গত ২২ এপ্রিল ঢাকা দক্ষিণের মেয়র হিসেবে ইশরাককে বিজয়ী ঘোষণা করে গেজেট প্রকাশ নিয়ে আইন মন্ত্রণালয়ের মতামত জানতে চেয়ে চিঠি দেয় নির্বাচন কমিশন (ইসি)। ২৭ এপ্রিল প্রকাশ করা হয় গেজেগেজেট প্রকাশের পর আইন উপদেষ্টা আসিফ নজরুল সাংবাদিকদের জানান, মতামত দেওয়ার আগেই গেজেট প্রকাশ করেছে ইসি। আর ইসি বলছে, আদালতের রায় বাস্তবায়ন করতেই বিএনপি নেতা ইশরাক হোসেনকে ঢাকা দক্ষিণ সিটির মেয়র ঘোষণা করে গেজেট প্রকাশ করা হয়েছে।ইশরাক হোসেনকে মেয়রের দায়িত্ব দেওয়ার দাবিতে গত কয়েকদিন ধরেই ঢাকা দক্ষিণের নগর ভবনে ব্লকেড কর্মসূচি পালন করছেন তার সমর্থকরা।
সালাহউদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘নির্বাচনের কথা বললে বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকার নারাজ হয়। কিন্তু বাংলাদেশে এই মুহূর্তে নির্বাচনের কোনো বিকল্প নেই। অনেক উপদেষ্টা আছেন যারা বলেন তারা নাকি জনগণের নির্বাচিত।’
বিএনপির জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য আরও বলেন, ‘সরকারে থাকা কয়েকজন উপদেষ্টা দেশকে অস্থিতিশীল করতে চাইছে। এসব ব্যাপারে প্রধান উপদেষ্টাকে অবগত করা হয়েছে। তিনি সে ব্যাপারে কোনো পদক্ষেপ না নিলে তার সম্মান বজায় থাকবে কিনা তা নিয়েও উদ্বেগ রয়েছে।’
আওয়ামী লীগের রাজনীতি নিষিদ্ধ করা নিয়ে মন্তব্য করতে গিয়ে তিনি বলেন, ‘আওয়ামী লীগ রাজনীতি করতে পারবে কিনা কিংবা নির্বাচনে অংশ নিতে পারবে কিনা তা আদালতের মাধ্যমে সিদ্ধান্ত নিতে হবে।’
সদস্য ফরম সংগ্রহ ও নবায়ন কর্মসূচির উদ্বোধন অনুষ্ঠানে অন্য অতিথিদের মধ্যে সিলেট জেলা ও মহানগর বিএনপির বিভিন্ন পর্যায়ের অন্তত ৫ শতাধিক নেতা-কর্মী উপস্থিত ছিলেন। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন সিলেট বিভাগের সাংগঠনিক সম্পাদক জি কে গউছ।ট।
Post a Comment