মস্তিষ্কের স্বাস্থ্য ভালো রাখতে এবং এর কার্যকারিতা বাড়াতে কিছু সহজ অভ্যাস গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারে। দৈনন্দিন জীবনে এই অভ্যাসগুলো চর্চা করলে স্মৃতিশক্তি, মনোযোগ এবং সামগ্রিক মানসিক সুস্থতা উন্নত করা সম্ভব। দৈনন্দিন কিছু ছোট ছোট অভ্যাস আমাদের মস্তিষ্কের কার্যকারিতা উন্নত করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে। নিয়মিত এসব অভ্যাস চর্চা করলে মনোযোগ তীক্ষ্ণ হয় এবং স্মৃতিশক্তি উন্নত করা সহজ হয়। একবারে সবকিছু করার চেষ্টা না করে, সপ্তাহের একেক দিন একেকটি কাজ করলে চাপ ছাড়াই এর সুফল পাওয়া সম্ভব।
২০ মিনিটের দক্ষতা অনুশীলন: গবেষণায় দেখা গেছে, মস্তিষ্কের নিউরোপ্লাস্টিসিটি উন্নত করতে অল্প সময়ের জন্য মনোযোগী হয়ে কোনো নতুন কিছু শেখা খুবই কার্যকর। এটি একটি নতুন ভাষার কয়েকটি শব্দ বা কোনো নতুন যন্ত্র বাজানো হতে পারে। এতে মস্তিষ্ক সচল হয়। নতুন দক্ষতা অর্জন করা বা নতুন কোনো বিষয়ে শেখা মস্তিষ্কের জন্য একটি চমৎকার ব্যায়াম। এটি মস্তিষ্কের নিউরনগুলোর মধ্যে নতুন সংযোগ তৈরি করে, যা জ্ঞানীয় ক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে।
পেছনে হাঁটার অভ্যাস: একটি গবেষণায় দেখা গেছে, পেছনের দিকে হাঁটার অভ্যাস করলে স্বল্পমেয়াদী স্মৃতিশক্তি বাড়ে। এই ধরনের অস্বাভাবিক নড়াচড়া মস্তিষ্ককে নতুনভাবে চিন্তা করতে বাধ্য করে, যা মনোযোগ ও সমস্যা সমাধানের ক্ষমতা বাড়ায়। অভ্যাসটি নিয়মিতভাবে মেনে চললে তা মস্তিষ্ককে নতুনভাবে চিন্তা করতে বাধ্য করে।
হাতে লিখুন: টাইপ করার চেয়ে হাতে লেখার অভ্যাস মস্তিষ্কের বিভিন্ন স্নায়ু সার্কিটকে বেশি সক্রিয় করে। হাতে লেখার ফলে মস্তিষ্কের যে অংশগুলো সৃজনশীলতা ও বোধগম্যতার সঙ্গে জড়িত, সেগুলো উদ্দীপিত হয়। ১০ মিনিটের জন্য মনের কথা হাতে লিখলে তা আবেগ নিয়ন্ত্রণ এবং চিন্তায় স্পষ্টতা আনতে সাহায্য করে।
ফার্মান্টেড খাবার খান: ফার্মান্টেড খাবার (যেমন দই বা ইডলি) অন্ত্রে উপকারী মাইক্রোবায়োম তৈরি করে, যা নিউরোট্রান্সমিটার উৎপাদনে সহায়তা করে। গবেষণায় দেখা গেছে, এই ধরনের খাবার স্মৃতিশক্তি উন্নত করে এবং উদ্বেগ কমাতে সাহায্য করে।
কৃতজ্ঞ থাকুন: নিয়মিত কৃতজ্ঞতা প্রকাশের অভ্যাস মস্তিষ্কের পুরস্কার সার্কিটকে সক্রিয় করে। নিয়মিত কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করলে মস্তিষ্কের স্নায়ুপথগুলো পুনর্গঠিত হয়, যা স্থিতিস্থাপকতা ও আশাবাদ বাড়ায়। সপ্তাহের শুরুতে আপনার জীবনের ভালো লাগার বিষয়গুলো নিয়ে লিখলে তা মনকে ইতিবাচক করে তোলে।
এছাড়া মস্তিষ্কের সঠিক কার্যকারিতার জন্য পর্যাপ্ত ঘুম অপরিহার্য। ঘুমের সময় মস্তিষ্ক দিনের বেলায় জমা হওয়া ক্ষতিকর টক্সিন পরিষ্কার করে এবং তথ্যগুলোকে প্রক্রিয়াজাত করে।< /p>
Post a Comment