ঘুম থেকে উঠেই কাজে ছুটতে নেই, জানুন কারণ

 প্রতিটি নতুন দিন আসে সম্ভাবনা আর সুযোগ নিয়ে। কখনো তা শেখার অভিজ্ঞতা এনে দেয়, আবার কখনো হয়তো সাধারণ হলেও হয়ে ওঠে সুখকর ও নিরাপদ। কিন্তু ঘুম থেকে উঠেই যদি তাড়াহুড়ো করে কাজে নেমে পড়া হয়, তবে দিনের শুরুটাই হতে পারে অগোছালো। এর প্রভাব টেনে নিতে পারে পুরো দিনের কর্মদক্ষতাকে। সকালে তাড়াহুড়া করে ঘুম ভাঙার পরই অফিস বা ক্লাসে দৌড়ানোর অভ্যাস অনেকেরই। এতে প্রয়োজনীয় জিনিস নিতে ভুল হওয়া থেকে শুরু করে সময়মতো পৌঁছানো নিয়ে অকারণ চাপ তৈরি হয়। শুধু তাই নয়, এভাবে দিন শুরু করলে শারীরিক ও মানসিক কর্মক্ষমতার ওপরও পড়তে পারে নেতিবাচক প্রভাব।


ঘুম থেকে ওঠার মুহূর্তটা

ঘুম ভেঙে আপনি একটা নতুন দিন শুরু করছেন। সেই চমৎকার মুহূর্তে আপনার দেহ নিঃসন্দেহেই সতেজ ও ফুরফুরে থাকার কথা। তবে অনেকেরই সতেজ হয়ে উঠতে একটু সময় লেগে যায়। থেকে যায় ঘুমের খানিক রেশ। এ যেন এক ঘোরলাগা সময়। যতক্ষণ ঘুমিয়েছেন, ততক্ষণ কিন্তু আপনি খাবার বা পানি কিছুই খাননি। তাই কাজ শুরু করার আগে পানি আর খাবারের জোগান দিতে হবে দেহকে। এসব জোগান দেওয়ার পরও সতেজ হয়ে উঠতে ক্যাফেইনের সাহায্য নিতে হতে পারে কারও কারও।


সকালটা যদি না হয় ফুরফুরে

সতেজভাবে দিনের কাজ শুরু করতে না পারলে আপনার পেশাগত বা একাডেমিক কাজে ব্যাঘাত ঘটার আশঙ্কা থাকবে। এ ক্ষেত্রে আপনি নিজের দক্ষতা অনুযায়ী কাজটা করতে সক্ষম না-ও হতে পারেন। কাজে মনোযোগ দিতেই সমস্যায় পড়তে পারেন। হতে পারে ছোটখাটো ভুল। কিছুটা বিরক্তও লাগতে পারে। হতে পারে ক্লান্তিকর এক অনুভূতি। কারও কারও ক্ষেত্রে বেশ কিছুটা সময় পর্যন্তই এমন অনুভূতি রয়ে যায়। আর তার ওপর যদি আপনি খালি পেটেই বেরিয়ে যান, তাহলে বাড়বে অ্যাসিডিটির ঝুঁকিও।


কর্মোদ্যম দিনের জন্য


১. সকালে উঠে যেসব কাজ অবশ্যই করবেন, তা ঠিক করে রাখুন আগের রাতেই।


২. সকালে ওঠার জন্য খুব কর্কশ শব্দের অ্যালার্ম ব্যবহার না করাই ভালো।


৩. এক গ্লাস পানি খেয়ে নিন। চোখে-মুখে পানি দিন।


৪. সকালে অন্তত ১৫ মিনিট প্রকৃতির আলোয় সময় কাটান। এ জন্য আপনাকে পার্কে, মাঠে বা রাস্তায় যেতেই হবে, তা কিন্তু নয়। বারান্দা বা ছাদেও সময় কাটাতে পারেন আপনি। ভোরের সূর্যের আলো আপনার রাতের ঘুমেরও সহায়ক।


৫. সকালে অন্তত ১৫ মিনিট শরীরচর্চাও করুন। কিংবা গভীরভাবে শ্বাসপ্রশ্বাসের চর্চা করতে পারেন। ১৫ বার গভীরভাবে শ্বাস নেওয়া ও শ্বাস ছাড়ার কাজটি করতে পারলে আপনি পাবেন প্রশান্তির অনুভূতি। চাইলে এ ধরনের চর্চা করতে পারেন প্রকৃতির আলোয়। তাহলে একই সময়ে দুই কাজ হয়ে যাবে।


৬. পানি খাওয়ার অন্তত ১৫-২০ মিনিট পর সকালের নাশতা করবেন, সঙ্গে সঙ্গেই নয়।


৭. চা-কফি খেতে চাইলে নাশতা করার অন্তত ১৫-২০ মিনিট পরে খাবেন।


সব কাজ ধারাবাহিকভাবেই করতে হবে, বিষয়টা এমন নয়। তবে মনে রাখতে হবে, খালি পেটে চা-কফি খেতে নেই। ভরপেট খাবার বা পানি খেয়েই ব্যায়াম করতে নেই। পানি কিংবা যেকোনো পানীয় খেতে হবে খাবার খাওয়ার অন্তত ১৫-২০ মিনিট আগে বা পরে। সব দিক বিবেচনায় রেখে আপনি নিজের সুবিধামতো রুটিন তৈরি করে নিন সকালের জন্য। সেভাবেই উঠুন ঘুম থেকে। তবেই পাবেন কাজের উদ্যম, দিতে পারবেন নিজের সেরাটা।

Countdown Timer

Post a Comment

Previous Post Next Post