বর্তমানে বাচ্চাদের মধ্যেও ফ্যাটি লিভারের সমস্যা দেখা যায়। তবে প্রথম থেকেই যদি অভিভাবকরা সতর্ক থাকেন, তাহলে সুস্থ থাকবে শিশু। তাই ফ্যাটি লিভারের সমস্যা কমানোর জন্য বাচ্চাদের দৈনন্দিন জীবনযাত্রার ক্ষেত্রে কিছুটা পরিবর্তন আনা জরুরি।
মূলত খাওয়াদাওয়ার তালিকায় সামান্য কিছু পরিবর্তন আনলে, আর নিয়মিত শরীরচর্চা করলেই বাচ্চাদের ফ্যাটি লিভারের সমস্যা এড়ানো যাবেকোন কোন নিয়ম মেনে চললে বাচ্চাদের শরীরে থাবা বসাবে না ফ্যাটি লিভারের সমস্যা, চলুন জেনে নেওয়া যাক—
খাওয়াদাওয়ার ক্ষেত্রে নিয়ম
বাচ্চাদের খাবার ব্যালেন্সড ডায়েট হওয়া উচিত। অর্থাৎ সুষম আহার করতে হবে, যাতে শরীরে কোনো উপকরণেরই ঘাটতি কিংবা আধিক্য না ঘটে। শাক-সবজি থেকে মাছ, মাংস, ডিম সবই খাওয়া জরুরি। খেতে হবে ফল, দুসুষম আহার করলে শরীরে ভিটামিন, প্রোটিন, মিনারেলস, নিউট্রিয়েন্টস সঠিকমাত্রায় বজায় থাকবে। অতিরিক্ত তেলযুক্ত খাবার, ভাজাপোড়া, মসলাদার খাবার বাচ্চাদের না দেওয়া তাদের স্বাস্থ্যের পক্ষে ভালো।বাচ্চাদের খুব পেট ভরে কখনোই খাবার খাওয়ানো উচিত নয়। বাচ্চা না চাইলে জোর করে কিছু খাওয়াতে যাবেন না।
তাতে হিতে বিপরীতে হওয়ার সম্ভাবনাই বাড়বে। একবারে অনেকটা খাবার না খাইয়ে, বারবার বাচ্চাদের অল্প করে খাবার খাওয়ানো উচিত।
বাচ্চারা নিজে থেকে পানি খেতে চায় না। তাই এই দায়িত্ব অভিভাবকদেরই নিতে হবে। প্রতিদিন সঠিক পরিমাণে পানি খাওয়াতে হবে বাচ্চাদের, এদিকে খেয়াল রাখতে হবে মা-বাবাসঠিক পরিমাণে পানি খেলে বাচ্চাদের শরীর এমনিতেই ভালো থাকবে।
অতিরিক্ত ওজন বৃদ্ধির থেকে ফ্যাটি লিভারের সমস্যা দেখা দিতে পারে। আবার ফ্যাটি লিভারের সমস্যা দেখা দিলে তারপরে তার প্রভাবে ওজন অস্বাভাবিক হারে বাড়তে পারে। তাই বাচ্চাদের ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখা জরুরিবাচ্চাদের খুব বেশি মিষ্টি, চকোলেট, চিনি, কেক, পেস্ট্রি, কোল্ড ড্রিঙ্কস, আইসক্রিম—এগুলো খেতে দেবেন না। অল্প স্বল্প খাওয়া যেতেই পারে। তবে বেশি যেন না হয়।
ছোট থেকেই শরীরচর্চার অভ্যাস করান
প্রতিদিনই বাচ্চাদের শরীরচর্চা করা জরুরি। বাচ্চাদের জন্য সবচেয়ে ভালো যোগাসন অভ্যাস করা। তবে প্রশিক্ষকের বন্দোবস্ত করে তবেই সন্তানকে শরীরচর্চা করতে পাঠান। বাড়িতেই যোগাসন করতে পারে প্রতিদিন। এ ছাড়া ফ্রি-হ্যান্ড একসারসাইজ, মেডিটেশন—নিয়মিত এসব অভ্যাস করলেও কিন্তু সুস্থ থাকবে বাচ্চাদের শরীর। দেখা দেবে না ফ্যাটি লিভারের সমস্যা।।র।ধও।।
Post a Comment