কিডনি স্টোনের ঝুঁকিতে ভুগছেন না তো, সুস্থ থাকতে নেফ্রোলজিস্টের পরামর্শ

 কিডনি আমাদের দেহের গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ, যা শরীর থেকে বর্জ্য ও অতিরিক্ত লবণ বের করে আমাদের স্বাস্থ্যের ভারসাম্য বজায় রাখে। কিন্তু খারাপ জীবনযাপন এবং অনিয়মিত খাদ্যাভ্যাসের কারণে কিডনি স্টোন বা মূত্রপাথর হওয়ার ঝুঁকি বেড়ে যায়। কিডনি স্টোন হলো লবণ এবং মিনারেলের জমে থাকা, যা তীব্র ব্যথা এবং শারীরিক অস্বস্তি তৈরি করতে পারে।


হিন্দুস্তান টাইমসের এক প্রতিবেদনে সি.কে. বিরলা হাসপাতালের নেফ্রোলজি বিশেষজ্ঞ ডা. মোহিত খিরবাত। তিনি বলেছেন, কিডনির স্টোন একটি জটিল সমস্যা তবে সহজ জীবনধারার পরিবর্তন এবং সচেতন খাদ্যাভ্যাস কিডনিকে সুস্থ রাখতে সাহায্য করে। সেই সঙ্গে কিডনির স্টোন বা পাথর তৈরি হওয়া প্রতিরোধ করতে পারে। তিনি সুস্থ থাকতে বেশ কিছু পরামর্শ দিয়েছেন যা কিডনিতে পাথর হওয়া রোধ করবেকিডনি স্টোন এড়াতে ৭টি কার্যকর টিপস  


১. পর্যাপ্ত পানি পান করুন

প্রতিদিন ৮–১০ গ্লাস পানি পান করা কিডনি স্টোন প্রতিরোধের সবচেয়ে সহজ এবং কার্যকর উপায়। পানি মিনারেল ও লবণকে পাতলা করে দেয়, ফলে স্টোন হওয়ার সম্ভাবনা কমে। যারা বেশি ঘামেন, তাদের আরও বেশি পানি প্রয়োজন।


২. অতিরিক্ত লবণ এড়িয়ে চলুন

প্রক্রিয়াজাত খাবার, সালটি স্ন্যাকস এবং অতিরিক্ত টেবিল সল্ট কিডনিতে চাপ বাড়ায়। লবণ কমানো স্টোন হওয়ার ঝুঁকি কমাতে সাহায্য৫. উদ্ভিদভিত্তিক প্রোটিন বাড়ান

প্রাণিজ প্রোটিন বেশি খেলে ইউরিক অ্যাসিড বৃদ্ধি পায়, যা ইউরিক অ্যাসিড স্টোনে রূপান্তরিত হয়। ডাল, বীন, টোফু ইত্যাদি উদ্ভিদভিত্তিক প্রোটিন খাবারে অন্তর্ভুক্ত করুন।


৬. চিনি ও শর্করাযুক্ত পানীয় এড়িয়ে চলুন

কোলা, সোডা ও মিষ্টি পানীয় স্টোন হওয়ার ঝুঁকি বাড়ায়। এর পরিবর্তে পানি বা তাজা ফলের জুস খাওয়া ভালো।


৭. স্বাস্থ্যসম্মত ওজন বজায় রাখুন

মোটা হওয়া কিডনির অ্যাসিড-ক্ষার ভারসাম্যকে বদলে দেয়, যার ফলে স্টোন তৈরি হওয়া সহজ হয়। নিয়মিত ব্যায়াম ও সুষম খাদ্য স্বাস্থ্যকর ওজন বজায় রাখতে সাহায্য করে।


কিডনি সুস্থ রাখতে এবং স্টোন হওয়ার ঝুঁকি কমাতে ডা. মোহিত খিরবাতের এই টিপসগুলো দৈনন্দিন জীবনে সহজেই অনুসরণ করা যায়। যথেষ্ট পানি পান, সুষম খাদ্য, ব্যায়াম এবং সচেতন জীবনধারা কিডনিকে সুস্থ রাখতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।

Countdown Timer
00:01

Post a Comment

Previous Post Next Post