আপেল জুস অনেকের প্রিয় একটি পানীয়। মিষ্টি স্বাদ এবং পরিষ্কার রঙে এটি অনেকের কাছেই প্রিয় পানীয়। আপেল জুস শুধু তৃষ্ণা মেটায় না, শরীরেও কিছু উপকার নিয়ে আসে। তবে এর সঙ্গে কিছু সতর্কতাও রয়েছে, যা জানা জরুরি।আপেল জুস শরীরকে হাইড্রেটেড রাখে এবং এতে অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট থাকে। তবে এতে চিনি অনেক থাকে এবং ফাইবার থাকে খুব কম। অতিরিক্ত খেলে রক্তে শর্করার মাত্রা বেড়ে যেতে পারে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, সঠিক পরিমাণ ও সঠিক উপায়ে খেলে আপেল জুসে রয়েছে অনেক উপকার।আপেল জুসের উপকারিতা
১. শরীরে পানি ধরে রাখে
৮৮ শতাংশ আপেল জুসই পানি, তাই এটি দারুণ হাইড্রেশন দেয়। বিশেষ করে শিশুদের জন্য উপকারী।
২. অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট ভরপুর
জুসে থাকা কুয়েরসেটিন, ক্যাটেচিন, ক্লোরোজেনিক অ্যাসিড কোষ রক্ষা করে, প্রদাহ কমায় এবং রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়।
৩. হৃদরোগ প্রতিরোধে সহায়ক
এতে থাকা পলিফেনল ভালো কোলেস্টেরল বাড়িয়ে খারাপ কোলেস্টেরল কমাতে সাহায্য করে।
৪. হজমে সহজ
আপেল জুস হালকা ও সহজপাচ্য, তাই অসুস্থতার সময় এটা অনেক উপকারী।
৫. মস্তিষ্ক ও স্মৃতির যত্নে
গবেষণায় দেখা গেছে, আপেল জুস মস্তিষ্কের কার্যক্ষমাতা ভালো রাখতে সাহায্য করে।
কিছু সতর্কতা
১. চিনি বেশি থাকে
এক গ্লাস আপেল জুসে প্রায় ২৪ থেকে ২৮ গ্রাম চিনি থাকে, যা ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য ক্ষতিকর হতে পারে।
২. ফাইবার খুব কম
জুসে ফাইবারের অভাব থাকে, তাই পেট বেশিক্ষণ ভরে না এবং দ্রুত ক্ষুধা হয়।
৩. দাঁতের ক্ষতি হতে পারে
বেশি করে জুস খেলে দাঁতের এনামেল নষ্ট হওয়ার আশঙ্কা থাকে।
কিভাবে খাওয়া উচিত?
পুরো আপেল খাওয়া সবসময় ভালো। প্রাপ্তবয়স্করা এক গ্লাস, শিশুরা অর্ধেক গ্লাস। খাবারের সঙ্গে খেলে রক্তের শর্করার ওঠানামা কমে। দাঁত ভালো রাখতে জুস খাওয়ার পর মুখ ধুয়ে নিন।
শেষ কথা
আপেল জুস সুস্বাদু , তবে খেতে হবে সাবধানে। পরিমিত খেলে এটি শরীরের জন্য সহায়ক, অতিরিক্ত হলে ক্ষতির কারণও হতে পারে। তাই সচেতন থাকুন, সুস্থ থাকুন।
Post a Comment