অতিরিক্ত দুশ্চিন্তা থেকে মুক্তি পেতে মনোবিজ্ঞানীদের ৩টি প্রমাণিত উপায়

 

অতিরিক্ত দুশ্চিন্তা আমাদের দৈনন্দিন জীবনের স্বাভাবিক কাজকর্মকে ব্যাহত করে। এটি আমাদের মন ও শরীর উভয়ের ওপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলে। তবে কিছু কার্যকর কৌশল ব্যবহার করে এই সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়া সম্ভব।লাইফস্টাইল 

অতিরিক্ত দুশ্চিন্তা থেকে মুক্তি পেতে মনোবিজ্ঞানীদের ৩টি প্রমাণিত উপায়



অতিরিক্ত দুশ্চিন্তা আমাদের দৈনন্দিন জীবনের স্বাভাবিক কাজকর্মকে ব্যাহত করে। এটি আমাদের মন ও শরীর উভয়ের ওপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলে। তবে কিছু কার্যকর কৌশল ব্যবহার করে এই সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়া সম্ভব।




এখানে অতিরিক্ত দুশ্চিন্তা থেকে মুক্তির ৩টি কার্যকর উপায় তুলে ধরা হলো:


১. মননশীলতা বা মাইন্ডফুলনেস অনুশীলন করুন

দুশ্চিন্তার মূল কারণ হলো ভবিষ্যতের খারাপ কিছু নিয়ে অতিরিক্ত চিন্তা করা। মননশীলতা বা মাইন্ডফুলনেস আপনাকে বর্তমান মুহূর্তে মনোযোগ দিতে শেখায়। প্রতিদিন ১০-১৫ মিনিটের জন্য একটি শান্ত জায়গায় বসুন, চোখ বন্ধ করুন এবং আপনার শ্বাস-প্রশ্বাসের উপর মনোযোগ দিন। আপনি আপনার শরীরের প্রতিটি অনুভূতি, বা আশেপাশে যা ঘটছে, তা কেবল অনুভব করুন, কোনো বিচার করা ছাড়াই। এই অভ্যাসটি আপনার মনকে শান্ত করবে এবং দুশ্চিন্তা কমাতে সাহায্য করবে।২. আপনার দুশ্চিন্তাগুলো লিখে রাখুন

অনেক সময় আমাদের মাথায় দুশ্চিন্তাগুলো চক্রাকারে ঘুরতে থাকে, যা আমাদের আরও বেশি উদ্বিগ্ন করে তোলে। এই দুশ্চিন্তাগুলোকে একটি ডায়েরি বা নোটবুকে লিখে ফেলুন। যখন আপনি আপনার চিন্তাগুলোকে লিখবেন, তখন সেগুলো আপনার মস্তিষ্ক থেকে বেরিয়ে আসবে। এতে আপনি আপনার সমস্যাগুলোকে আরও স্পষ্টভাবে দেখতে পারবেন এবং সেগুলো সমাধান করার জন্য একটি কার্যকরী পরিকল্পনা তৈরি করতে পারবেন৩. শারীরিক কার্যকলাপ বা ব্যায়াম করুন

যখন আমরা দুশ্চিন্তায় থাকি, তখন আমাদের শরীর 'কর্টিসল' নামক স্ট্রেস হরমোন নিঃসরণ করে। ব্যায়াম এই হরমোনের মাত্রা কমাতে সাহায্য করে এবং 'এন্ডোরফিন' নামক হরমোন নিঃসরণ করে, যা আমাদের মন ভালো রাখতে সাহায্য করে। প্রতিদিন অন্তত ৩০ মিনিট হাঁটুন, জগিং করুন, সাইক্লিং করুন বা আপনার পছন্দের কোনো খেলাধুলা করুন। এটি আপনার দুশ্চিন্তা দূর করবে এবং আপনার মনকে সতেজ রাখবেএই তিনটি সহজ কৌশল নিয়মিত অনুসরণ করলে আপনি আপনার অতিরিক্ত দুশ্চিন্তা থেকে মুক্তি পেতে পারেন এবং আপনার জীবনকে আরও শান্তিপূর্ণ করে তুলতে পারেন।।।

Countdown Timer
00:01

Post a Comment

Previous Post Next Post