শরীরে হঠাৎ কালশিটে দাগ? হতে পারে ব্লাড ক্যান্সারের নীরব সংকেত

 শরীরে হঠাৎ কালশিটে দাগ কিংবা দীর্ঘস্থায়ী ব্যথা সাধারণত তেমন গুরুত্ব পায় না। হাতের কালশিটে দাগকে অনেক সময় ধাক্কা খাওয়ার ফল ভাবা হয়, আর কাঁধের ব্যথাকে দোষ দেওয়া হয় ভুল ভঙ্গি বা অতিরিক্ত পরিশ্রমকে। কিন্তু এসব উপসর্গ যদি হঠাৎ দেখা দেয় বা দীর্ঘস্থায়ী হয়, তাহলে তা ব্লাড ক্যান্সারের মতো গুরুতর অসুস্থতার সংকেত হতে পারে।


শরীরে হঠাৎ কালশিটে দাগ কিংবা দীর্ঘস্থায়ী ব্যথা সাধারণত তেমন গুরুত্ব পায় না। হাতের কালশিটে দাগকে অনেক সময় ধাক্কা খাওয়ার ফল ভাবা হয়, আর কাঁধের ব্যথাকে দোষ দেওয়া হয় ভুল ভঙ্গি বা অতিরিক্ত পরিশ্রমকে। কিন্তু এসব উপসর্গ যদি হঠাৎ দেখা দেয় বা দীর্ঘস্থায়ী হয়, তাহলে তা ব্লাড ক্যান্সারের মতো গুরুতর অসুস্থতার সংকেত হতে পারে।

×


×

ব্লাড ক্যান্সার ইউকে জানিয়েছে, অজানা কারণে কালশিটে দাগ, রক্তপাত বা দীর্ঘস্থায়ী ব্যথা লিউকেমিয়া, লিম্ফোমা বা মাইলোমার মতো মারাত্মক রোগের উপসর্গ হতে পারে। এসব রোগ রক্ত ও অস্থিমজ্জার কার্যক্রমকে ব্যাহত করে। শুধু যুক্তরাজ্যেই প্রতিবছর প্রায় ৪০ হাজার মানুষ ব্লাড ক্যান্সারে আক্রান্ত হন। তাই প্রাথমিক পর্যায়ে উপসর্গগুলো চিনে নেওয়া অত্যন্ত জরুরি।


কেন হয় অজানা কালশিটে দাগ:

সাধারণত আঘাতের কারণে রক্তনালিকা ফেটে গিয়ে চামড়ার নিচে রক্ত জমলে কালশিটে দাগ হয়। তবে কোনো আঘাত ছাড়াই যদি দাগ দেখা দেয়, তার অন্যতম কারণ হপ্লেটলেট ও জমাট বাঁধা: প্লেটলেট রক্তকোষ, যা রক্তপাত বন্ধ করতে জমাট বাঁধে। রক্ত ক্যান্সারে অস্থিমজ্জা পর্যাপ্ত প্লেটলেট তৈরি করতে না পারলে চামড়ার নিচে সহজেই রক্তক্ষরণ হয়।


পেটেকিয়া বনাম পারপিউরা:

পেটেকিয়া হলো ক্ষুদ্র লাল বা বেগুনি বিন্দু, যাকে অনেক সময় র‍্যাশ মনে পারপিউরা হলো তুলনামূলক বড় দাগ, যা গভীর রক্তক্ষরণে হয়।


ফর্সা ত্বকে এগুলো লাল বা বেগুনি দেখা যায়, আর শ্যামলা বা কালো ত্বকে এগুলো গাঢ় বা কালচে দাগের মতো হয়।


ব্লাড ক্যান্সার ও কাঁধের ব্যথার যোগসূত্র:

কাঁধের ব্যথা সাধারণত অজানা উপসর্গ হিসেবে ধরা হলেও, অস্থিমজ্জায় অস্বাভাবিক রক্তকোষ জমে আশপাশের স্নায়ু ও টিস্যুর ওপর চাপ সৃষ্টি করলে এ ব্যথা হতে পারে। রোগীরা অনুভব করতে পারেন-


কাঁধ, নিতম্ব বা মেরুদণ্ডে দীর্ঘস্থায়ী ব্যথা, রাতে বা শুয়ে থাকলে ব্যথা বেড়ে যাওয়া, সাধারণ ব্যথানাশক ওষুধেও আরাম না পাওয়া, বিশেষ করে মাইলোমার মতো রোগে হাড় দুর্বল হয়ে পড়ে, ফলে ব্যথা বা ভাঙনের ঝুঁকিব্লাড ক্যান্সারের অন্যান্য উপসর্গ:

কালশিটে দাগ বা হাড়ের ব্যথা ছাড়াও রক্ত ক্যান্সারের আরও কিছু সাধারণ লক্ষণ হলো-


অতিরিক্ত রাতের ঘাম, ঘুমিয়েও না কাটানো ক্লান্তি, ঘন ঘন সংক্রমণ, বারবার জ্বর, হঠাৎ ওজন কমে যাওয়া, রক্তশূন্যতা বা শ্বাসকষ্ট, অকারণে চুলকানি বা ত্বকের পরিবর্তন, এসব উপসর্গ একসঙ্গে দেখা দিলে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া জরুরি।


ত্বকের রঙ অনুযায়ী উপসর্গের ভিন্নতা:

ফর্সা ত্বকে কালশিটে দাগ লাল থেকে বেগুনি, পরে সবুজ ও হলুদ হয়ে সারে। তবে শ্যামলা বা কালো ত্বকে প্রাথমিকভাবে দাগ বোঝা কঠিন, পরে গাঢ় বা কালচে রঙ ধারণ করে। পেটেকিয়া ও পারপিউরার দাগ চাপ দিলেও মিলিয়ে যায় না, যা সাধারণ র‍্যাশের থেকে কখন চিকিৎসকের কাছে যাবেন?

শরীরে এই পরিবর্তনগুলো অবহেলা করা উচিত নয়। দ্রুত চিকিৎসকের কাছে যেতে হবে যদি-


বারবার অজানা কালশিটে দাগ বা লালচে বিন্দু দেখা দেয়, কাঁধ বা হাড়ের ব্যথা সপ্তাহের পর সপ্তাহ স্থায়ী হয়, মাড়ি, নাক বা অতিরিক্ত ঋতুস্রাবে রক্তপাত হয়, অতিরিক্ত ক্লান্তি, জ্বর বা ওজন কমে যায়, সংক্রমণ বারবার হয় ও সহজে সারে না।


অত্যন্ত বিরল হলেও প্লেটলেটের ঘাটতি মস্তিষ্কে রক্তক্ষরণ ঘটাতে পারে, যা মাথাব্যথা, মাথা ঘোরা বা বিভ্রান্তির মতো প্রাণঘাতী উপসর্গ তৈরি করে-এমন পরিস্থিতিতে জরুরি চিকিৎসা প্রয়োজন।আলাদা। বাড়ে।হয়।লো রক্তে প্লেটলেটের ঘাটতি।

Countdown Timer
00:01

Post a Comment

Previous Post Next Post