মরার ৪০ দিন পর্যন্ত রুহ বাড়িতে আসা-যাওয়া করে, কতটুকু সত্য

 সুরা আবাসাতে রাব্বুল আলামিন বলেন, ‘সেদিন মানুষ নিজের ভাই, নিজের মা, নিজের পিতা, নিজের স্ত্রী ও সন্তানাদি থেকে পালাবে। তাদের মধ্যে প্রত্যেক ব্যক্তির ওপর সেদিন এমন সময় এসে পড়বে, সে নিজেকে ছাড়া আর কারও প্রতি লক্ষ্য করার মতো অবস্থা থাকবে না।’ ( আয়াত ৩৪-৩৭)


হজরত আয়েশা (রা.) বলেন, আমি মহানবীকে (সা.) বলতে শুনেছি, কিয়ামতের দিন মানুষ উলঙ্গ হয়ে খতনাহীন অবস্থায় কবর থেকে হাশরের ময়দানে এসে দাঁড়াবে। এ কথা শুনে আমি জিজ্ঞেস করলাম, হে আল্লাহর রাসুল! নারী-পুরুষ সবাই কি উলঙ্গ থাকবে? এমন হলে তো খুবই লজ্জার ব্যাপার। উত্তরে হুজুর (সা.) বললেন, ‘হে আয়েশা,


উলঙ্গ থাকবে? এমন হলে তো খুবই লজ্জার ব্যাপার। উত্তরে হুজুর (সা.) বললেন, ‘হে আয়েশা, সে দিনের পরিস্থিতি এত ভয়ঙ্কর হবে, কেউ কারও দিকে তাকানোর কথা কল্পনাও করতে পারবে না।’ (বোখারি ও মুসলিম)


‘মৃত্যু নিশ্চিত’ এ কথা সব ধর্মের মানুষই বিশ্বাস করেন। তবে অনেকে মনে করেন, ‘মানুষ মৃত্যুর পর ৪০ দিন পর্যন্ত তার রুহ বাড়িতে ঘোরাঘুরি করে। আর ৪০ দিন পর প্রতি বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় রুহ বাড়িতে আসে এবং শুক্রবার জুমার পর চলে যায়। এ সময় রুহটি সবার কাছে দোয়া চায়। দোয়া না পেলে নিজেই বদদোয়া করে চলে যায়।’


এই কথাগুলো কি আসলেই সঠিক? ইসলামি শরিয়তে এর কোনো ভিত্তি আছে? এ প্রসঙ্গে প্রখ্যাত ইসলামি স্কলার শায়খ আহমাদুল্লাহ বলেন, এ কথাগুলো সম্পূর্ণ বানোয়াট ও ভিত্তিহীন। তার দাবি, এরকম আরও অনেক কুসংস্কারাচ্ছন কথা বলে সমাজে বিভ্রান্তি সৃষ্টি করা হয়।

তিনি বলেন, ইসলামে এরকম কোনো বিশ্বাস নেই যে, মৃত্যুর পর মরা মানুষের রুহ আবার আসে।


আহমাদুল্লাহ বলেন, মৃত্যুর পর মানুষ নিজেকে নিয়ে ব্যস্ত থাকে। সে জান্নাতি হলে সেই নেয়ামত ভোগ করে। আর জাহান্নামি হলে শাস্তি ভোগ করে। এ অবস্থায় তার রুহ দুনিয়াতে এসে আপনাদের কাছে সালাম চাইবে, দোয়া চাইবে- এমন কোনো সুযোগ নেই। কারণ, মৃতদের ফেরত আসার কোনো সুযোগ নেই। তাই এসব কুসংস্কারাচ্ছন কথাবার্তা বিশ্বাস করা যাবে না।


যারা এমনটা বিশ্বাস করবে, তাদের ইমান ক্ষতিগ্রস্ত হবে বলেও জানান তিনি।



Countdown Timer
00:01

Post a Comment

Previous Post Next Post