মাসিক অবস্থায় দীনি বইপত্র পড় যাবে। এমনকি কোরআনের আয়াত উদ্ধৃত রয়েছে এমন বইপত্রও এ অবস্থায় স্পর্শ করা যাবে ও পড়া যাবে। তবে কোরআনের আয়াত উচ্চারণ করে পড়া বা স্পর্শ করা থেকে বিরত থাকতে হবে।হজরত আব্দুল্লাহ ইবনে ওমর (রা.) থেকে বর্ণিত হাদিসে আছে, আল্লাহর রসুল সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন,
لاَ تَقْرَإِ الْحَائِضُ وَلاَ الْجُنُبُ شَيْئًا مِنَ الْقُرْآنِ অর্থ: মাসিক অবস্থায় নারী এবং যাদের উপর গোসল ফরজ তারা কোরআন তিলওয়াত করবে না। (তিরমিজি: ১৩মাসিক অবস্থায় কোরআন স্পর্শ করা ও উচ্চারণ করে তিলাওয়াত করা নিষিদ্ধ হলেও দোয়ার অর্থবহ আয়াত বা সুরা দোয়ার নিয়তে পড়া জায়েজ। যেমন দোয়ার নিয়তে আয়াতুল কুরসি বা সুরায়ে নাস ও ফালাক ইত্যাদি পড়া জায়েজ হবে। এ অবস্থায় জিকির করা ও তাসবিহ পড়াও জায়েজ হবে।
ইবরাহিম নাখঈ (রহ.) বলেন, গোসল ফরজ হওয়া ব্যক্তিরা আল্লাহর জিকির করতে পারবে এবং বিসমিল্লাহও পড়তে পারবে। (মুসান্নাফে আবদুর রাজ্জামাসিক অবস্থায় কোরআন তেলাওয়াত শোনা এবং উচ্চারণ না করে কোরআনের লেখার ওপর নজর বুলিয়ে যাওয়া এবং মনে মনে পড়াও জায়েজ। হজরত আয়েশা (রা.) বলেন, আল্লাহর রসুল সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের কোনো এক স্ত্রী মাসিক থাকা অবস্থায়ও তিনি তার কোলে মাথা রেখে শুতেন এবং কোরআন পাঠ করতেন। (নাসায়ি: ৩৮১)ক)১)
Post a Comment