শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে করা মামলা প্রত্যাহার করলেন বিএনপি নেতা 


 

টাঙ্গাইলে ডামি নির্বাচন ও ভোট চুরির অভিযোগে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, সাবেক প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী হাবিবুল আউয়াল, স্থানীয় পাঁচ সাংবাদিকসহ ১৯৩ জনের নামে করা মামলা প্রত্যাহার করে নিয়েছেন বাদী কামরুল হাসান। 

বুধবার (২১ মে) চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ভূঞাপুর উপজেলা আমলি আদালতে মামলাটি প্রত্যাহারের আবেদন করেন বাদী বিএনপি নেতা। এর প্রেক্ষিতে আদালতের বিচারক রুমেলিয়া সিরাজাম মামলার বাদী ও তার আইনজীবীর বক্তব্য শুনে মামলাটি বাতিলের আদেশ দেন।


বিষয়টি নিশ্চিত করে টাঙ্গাইল আদালতের পরিদর্শক মো. লুৎফর রহমান বলেন, আগামী ১৩ আগস্ট এ বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত দেবেন আদালত। 

বাদীপক্ষের আইনজীবী আবু রায়হান খান বলেন, ২০২৪ সালের ৭ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে ডামি ও ভোট চুরির নির্বাচন আখ্যা দিয়ে করা মামলাটি বাদী প্রত্যাহার করে নিয়েছেন।  


এ বিষয়ে জানতে চাইলে বাদী কামরুল হাসান বলেন, উপজেলা বিএনপির সভাপতি গোলাম মোস্তফা মামলাটি প্রত্যাহার করতে বলেছেন। প্রত্যাহারের সিদ্ধান্তটি বিএনপির ওপর মহল থেকে নেওয়া হয়েছে বলেও জানান তিনি।  


এর আগে, গত সোমবার ওই আদালতে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ ১৯৩ জনের নামে মামলাটি করা হয়। মামলার বাদী কামরুল হাসান উপজেলার অলোয়া ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি। মামলায় তিনি স্থানীয় পাঁচ সাংবাদিককে আসামি করায় সমালোচনার মুখে পড়েন। বিচারক মামলাটি আমলে নিয়ে বাদীর জবানবন্দি নিয়ে ভূঞাপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে (ওসি) তদন্ত করে প্রতিবেদন দেওয়ার নির্দেশ দেন। একইসঙ্গে আগামী ১৩ আগস্ট মামলার পরবর্তী শুনানির দিন ধার্য করেন আদালত। এরই মধ্যে গতকাল পাঁচ সাংবাদিককে মামলা থেকে প্রত্যাহারে বাদী অনাপত্তিপত্র দেন। সর্বশেষ আজ বাদী মামলাটি প্রত্যাহার করে নেন।


মামলায় বাদী উল্লেখ করেন, ভারতের নির্দেশক্রমে শেখ হাসিনা অন্য আসামিদের সঙ্গে যোগসাজশ করে ২০২৪ সালের ৭ জানুয়ারি একটি ডামি নির্বাচনের আয়োজন করেন। বাদী কামরুল হাসান ভূঞাপুরের অলোয়া ইউনিয়নের ভারই উচ্চবিদ্যালয় কেন্দ্রের ভোটার ছিলেন। তিনি অন্য ভোটারদের সঙ্গে ওই কেন্দ্রে ভোট দিতে গেলে আওয়ামী লীগ ও ছাত্রলীগের সন্ত্রাসীরা তাদের ওপর হামলা চালান। আসামিরা তাকে মারধর করেন এবং হত্যার হুমকি দেন। নির্বাচনে পুলিশ ও প্রিসাইডিং কর্মকর্তার সহায়তায় আওয়ামী লীগের সন্ত্রাসীরা ভোটকেন্দ্র দখল করে জোরপূর্বক নৌকা প্রতীকে সিল মেরে বাক্স ভর্তি করেন। এভাবে অন্যের ভোট চুরি করে টাঙ্গাইল-২ (ভূঞাপুর) আসনের আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী তানভীর হাসান ছোট মনিরকে এমপি পদে নির্বাচিত করা হয়। 


Countdown Timer
00:01

Post a Comment

Previous Post Next Post