বিপদের সময় ধৈর্য না হারিয়ে আল্লাহর ওপর ভরসা করা একজন মুমিনের একান্ত দায়িত্ব ও কর্তব্য। পবিত্র কোরআনে আল্লাহ তায়ালা বলেছেন, ‘হে মুমিনরা! ধৈর্য ও সালাতের মাধ্যমে তোমরা সাহায্য কামনা কর। নিশ্চয় আল্লাহ ধৈর্যশীলদের সঙ্গে আছেন।’ (সুরা বাকারা, আয়াত : ১৫৩)
বিপদে আল্লাহর ওপর ভরসা রেখে যারা উত্তীর্ণ হন তাদের তিনি পুরস্কৃত করেন দুনিয়া ও আখেরাতে। এ সম্পর্কে কোরআনে বলা হয়েছে—‘আমি অবশ্যই তোমাদের কিছু ভয়, ক্ষুধা, সম্পদ, জীবন ও ফল-ফসলের ক্ষয় দ্বারা পরীক্ষা করব। আর সুসংবাদ দাও ধৈর্যশীলদের।’ (সুরা বাকারা, আয়াত : ১৫৫)
যারা আল্লাহর পক্ষ থেকে দেওয়া বিপদ ও আপদে ধৈর্য ধারণ করতে পারে না, তাদের জন্য আল্লাহর পক্ষ থেকে হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করা হয়েছে। তাদেরকে দুনিয়া ও আখেরাতে ক্ষতিগ্রস্ত হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে।
পবিত্র কোরআনে বর্ণিত হয়েছে, ‘আর মানুষের মধ্যে কেউ কেউ আল্লাহর ইবাদত করে দ্বিধার সাথে; তার মঙ্গল হলে তাতে তার চিত্ত প্রশান্ত হয় এবং কোন বিপর্যয় ঘটলে সে তার পূর্ব চেহারায় ফিরে যায়। সে ক্ষতিগ্ৰস্ত হয় দুনিয়াতে এবং আখেরাতে; এটাই তো সুস্পষ্ট ক্ষতি। (সুরা হজ, আয়াত : ১১)
এখানে এমন ব্যক্তিদের কথা বলা হয়েছে, যারা শুধু কল্যাণের জন্য আল্লাহর ওপর ভরসা করে এবং কল্যাণ ও ভালো কিছু ঘটলেই খুশি হয়। মন্দ কিছু ঘটলে আল্লাহর ওপর থেকে ভরসা হারিয়ে ফেলে
এক হাদিসে এসেছে, ‘যখন আল্লাহ কোনো জাতিকে ভালোবাসেন, তখন তাদের পরীক্ষা করেন। যে ধৈর্য ধরে, তার জন্য ধৈর্যের অবারিত প্রতিদান। আর যে ক্ষোভ দেখায়, তার জন্য সেই ক্ষোভের ক্ষতি।’ (মুসনাদে আহমদ।)
Post a Comment