আজকাল অনেক ছেলে-মেয়ে বিয়ের আগে প্রেম, রোমান্টিক সম্পর্ক ও শারীরিক সম্পর্ককে আধুনিকতা ও সামাজিকতার সঙ্গে খাপ খাওয়ানো মনে করেন। তারা সিনেমা হলে বা পার্কে একান্তে দেখা, কথা বলা, হাত ধরা ইত্যাদিকে স্বাভাবিক ও গ্রহণযোগ্য মনে করেন। কিন্তু ইসলামে এটি স্পষ্টভাবে হারাম। নবী মুহাম্মদ (সা.) বলেছেন, যার সঙ্গে বিবাহ হারাম নয়, সেই নারীর সঙ্গে একা থাকা নিষেধ। অনুরূপ পুরুষের সঙ্গেও একা থাকা হারাম। (সহীহ মুসলিম)
ইসলামে সম্পর্কের সবচেয়ে পবিত্র ও নিবিড় বন্ধন হলো বিয়ে। বিয়ের আগে প্রেম-ভালোবাসা করা ঈমান, চারিত্রিক ও সামাজিক ক্ষতির কারণ। কোরআনে আল্লাহ তায়ালা বলেন, তিনি তোমাদের জন্য হালাল করেছেন পবিত্র ও উত্তম বস্তু এবং হারাম করেছেন অপবিত্র ও ক্ষতিকর বস্তু। (সূরা আল-আরাফ, আয়াত ১৫৭)
ইসলামে নারী-পুরুষের পর্দা করার কথা স্পষ্ট নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। কোরআনে বলা হয়েছে, মুমিন পুরুষরা তাদের দৃষ্টিকে নত রাখুক এবং লজ্জা স্থান হেফাজত করুক। (সূরা আন-নূর, আয়াত ৩০), মুমিনা নারীরা তাদের দৃষ্টিকে নত রাখুক, যৌনাঙ্গ হেফাজত করুক এবং তাদের সৌন্দর্য্য অপ্রয়োজনীয়ভাবে প্রকাশ না করুক।” (সূরা আন-নূর, আয়াত ৩১)
বিবাহপূর্ব প্রেম অনেক সময় জিনার পথ প্রশস্ত করে। আল্লাহ তায়ালা বলেছেন, ব্যভিচারের কাছে যাওও না; এটি একটি অশ্লীল কাজ।” (সূরা বনী ইসরাইল, আয়াত ৩২)
প্রেম ও শারীরিক সম্পর্ক কখনও অভিভাবকের অনুমতি ছাড়া পালিয়ে বিয়ে করাকে যৌক্তিক বানায় না। নবী (সা.) বলেন, যদি কোনো মহিলা অভিভাবকের অনুমতি ছাড়া নিজেই বিয়ে করে, তা বাতিল। (তিরমিযি, হাদিস ১০২১)
ববাহপূর্ব সম্পর্কের পার্থিব পরিণতি ভয়ংকর। এতে অসংখ্য নৈতিক ও সামাজিক ক্ষতি হতে পারে, অবৈধ গর্ভধারণ, আত্মসম্মানহানি, পরিবারে অপমান, অপরাধ, ভিডিও ফাঁস, এমনকি আত্মহত্যার মতো ঘটনা। পরকালের জীবনে এর ফল চিরস্থায়ী শাস্তি।
উল্লেখ্য: ইসলামে প্রেম-ভালোবাসা ও শারীরিক সম্পর্কের অনুমোদন কেবল বিয়ের মধ্যে। বিয়ের আগে এসব করা হারাম এবং তা মানব ও সমাজের জন্য ক্ষতিকর।
Post a Comment