চিকিৎসকের কাছে গেলে প্রথমেই জিভ পরীক্ষা করা হয়। কারণ, শরীরের নানা অসুস্থতার প্রাথমিক লক্ষণ ফুটে ওঠে জিভে। বিশেষ করে জিভের রঙ পরিবর্তন হলে বা সাদা আস্তরণ দেখা দিলে এটি হতে পারে বিভিন্ন রোগের ইঙ্গিত। অনেকেই বিষয়টিকে হালকাভাবে নিলেও বিশেষজ্ঞরা বলছেন, জিভের সাদা আস্তরণ অবহেলা করা ঠিক নয়। দীর্ঘদিন স্থায়ী হলে এটি বিপজ্জনক রোগের পূর্বাভাসও হতে পারে।লিউকোপ্লাকিয়াতার প্রাথমিক লক্ষণ ফুটে ওঠে জিভে। বিশেষ করে জিভের রঙ পরিবর্তন হলে বা সাদা আজিভের উপরিভাগের কোষ দ্রুত বৃদ্ধি পেলে এবং কেরাটিন নামক প্রোটিনের সঙ্গে মিশে গেলে জিভে সাদা আস্তরণ তৈরি হয়। এ অবস্থাকে বলা হয় লিউকোপ্লাকিয়া। যদিও বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই এটি সহজে সেরে যায়, তবে চিকিৎসা না নিলে মুখগহ্বর ক্যানসারের ঝুঁকি বাড়তে পারে।
ওরাল থ্রাশ
জিভে সাদা আস্তরণের অন্যতম সাধারণ কারণ হলো ওরাল থ্রাশ। মুখে থাকা ক্যান্ডিডা ইস্ট নামক ছত্রাক অতিরিক্ত হারে বৃদ্ধি পেলে এ সমস্যা দেখা দেয়। সাধারণত এটি গুরুতর না হলেও শরীরের রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা দুর্বল হওয়ার ইঙ্গিত বহন করতে পারে। সময়মতো ব্যবস্থা না নিলে এই সংক্রমণ দীর্ঘস্থায়ী হয়ে যেতে পাসিফিলিস
যৌনবাহিত রোগ সিফিলিসও জিভে সাদা আস্তরণের কারণ হতে পারে। অসুরক্ষিত যৌন সম্পর্কের মাধ্যমে ছড়ানো এই রোগ অবহেলা করলে মারাত্মক আকার ধারণ করে। প্রাথমিক পর্যায়ে শনাক্ত করা গেলে চিকিৎসার মাধ্যমে নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব, তবে দেরি হলে তা শরীরের অন্যান্য অঙ্গে ছড়িয়ে পড়তে পারে।
কী করবেন?
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, জিভে সাদা আস্তরণ পড়া কোনো সাধারণ ঘটনা নয়। এটি দুই সপ্তাহের বেশি স্থায়ী হলে বা অন্যান্য উপসর্গ যেমন ব্যথা, জ্বালা, খাওয়ায় অসুবিধা ইত্যাদির সঙ্গে থাকলে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া জরুরি। কারণ, জিভ শুধু খাওয়ার স্বাদ বোঝার অঙ্গ নয়, বরং শরীরের ভেতরের নানা অসুস্থতার প্রতিফলনও দেখা যাচিকিৎসকদের পরামর্শ, নিয়মিত মুখের পরিচ্ছন্নতা বজায় রাখা, ধূমপান ও মাদক থেকে বিরত থাকা এবং সুস্থ খাদ্যাভ্যাস অনুসরণ করলে এ ধরনের সমস্যার ঝুঁকি অনেকাংশে কমানো যায়। তবে কোনো অবস্থাতেই দীর্ঘদিন ধরে থাকা জিভের সাদা আস্তরণ অবহেলা করা উচিত নয়।
আপনার জিভ যদি বারবার সাদা হয়ে যায় বা সহজে না সারে, তবে দেরি না করে দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হোন।য় এতে।রে।
Post a Comment