স্ট্রেস বা মানসিক চাপ আমাদের জীবনের একটি অনিবার্য অংশ। কিন্তু অতিরিক্ত স্ট্রেস আমাদের হৃদপিণ্ডের জন্য এক নীরব ঘাতকের মতো কাজ করে। এটি শুধু আমাদের মানসিক স্বাস্থ্যকেই নয়, বরং আমাদের শারীরিক স্বাস্থ্যকেও মারাত্মকভাবে প্রভাবিত করে। স্ট্রেস থেকে মুক্তির জন্য এখানে ৫টি সহজ উপায় তুলে ধরা হলো, যা আপনার হৃদপিণ্ডকে সুরক্ষিত রাখবে।লাইফস্টাইল
অতিরিক্ত স্ট্রেসেই হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি: মুক্তির ৫টি সহজ উপায়
১. গভীর শ্বাসের ব্যায়াম
যখন আমরা স্ট্রেসে থাকি, তখন আমাদের শ্বাস-প্রশ্বাস দ্রুত এবং অগভীর হয়। গভীর শ্বাসের ব্যায়াম করলে আমাদের নার্ভ সিস্টেম শান্ত হয় এবং হৃদস্পন্দন স্বাভাবিক হতে শুরু করে। প্রতিদিন ৫-১০ মিনিটের জন্য একটি শান্ত জায়গায় বসে ধীরে ধীরে নাক দিয়ে গভীর শ্বাস নিন এবং মুখ দিয়ে ধীরে ধীরে শ্বাস ছাড়ুন। এটি আপনার মনকে শান্ত করবে এবং আপনার হৃদপিণ্ডের উপর চাপ কমাবে।
২. নিয়মিত শরীরচর্চা
শারীরিক পরিশ্রম স্ট্রেস কমানোর অন্যতম কার্যকর উপায়। যখন আপনি ব্যায়াম করেন, তখন আপনার মস্তিষ্ক 'এন্ডোরফিন' নামক হরমোন নিঃসৃত করে, যা মনকে ভালো রাখতে সাহায্য করে। প্রতিদিন মাত্র ৩০ মিনিট হাঁটুন, সাইক্লিং করুন বা আপনার পছন্দের যেকোনো ব্যায়াম করুন। এটি আপনার হৃদপিণ্ডকে সচল রাখবে এবং স্ট্রে৩. স্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাস
অতিরিক্ত তেল, চিনি এবং প্রক্রিয়াজাত খাবার খেলে শরীরের প্রদাহ বাড়ে। এই ধরনের খাবার এড়িয়ে চলুন এবং ফল, সবজি, গোটা শস্য ও স্বাস্থ্যকর ফ্যাট সমৃদ্ধ খাবারকে খাদ্যতালিকায় অন্তর্ভুক্ত করুন। কিছু খাবার, যেমন— অ্যাভোকাডো, বাদাম, এবং সবুজ শাকসবজিতে থাকা পুষ্টি উপাদান স্ট্রেস কমাতে সাহায্য করে৪. পর্যাপ্ত ঘুম
পর্যাপ্ত ঘুম শরীরের স্ট্রেস কমানোর জন্য খুবই জরুরি। ঘুমের সময় আমাদের শরীর তার ক্ষতিপূরণ করে এবং নিজেকে সতেজ করে তোলে। প্রতিদিন রাতে অন্তত ৭-৮ ঘণ্টা ঘুমানোর চেষ্টা করুন। ঘুম কম হলে স্ট্রেস হরমোনের মাত্রা বেড়ে যায় এবং হৃদরোগের ঝুঁকি বাড়ায়৫. সামাজিক সমর্থন
আপনার জীবনে এমন কিছু মানুষের প্রয়োজন, যারা আপনার সুখ-দুঃখের অংশীদার হবে। আপনার বন্ধু-বান্ধব বা পরিবারের সদস্যদের সাথে সময় কাটান। আপনার সমস্যাগুলো তাদের সাথে শেয়ার করুন। এতে আপনার ভেতরের চাপ কমে আসবে এবং আপনি নিজেকে একা মনে করবেন না। সামাজিক সম্পর্ক আমাদের মানসিক স্বাস্থ্যের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণএই ৫টি সহজ অভ্যাস আপনার হৃদপিণ্ডকে স্ট্রেসের ক্ষতিকর প্রভাব থেকে রক্ষা করবে এবং আপনার জীবনকে আরও শান্তিপূর্ণ করে তুলবে।।।।স হরমোনের মাত্রা কমিয়ে দেবে।
Post a Comment