সকালে কালো কিশমিশের পানি পান কেন উপকারী, খাওয়ার নিয়ম জানালেন পুষ্টিবিদ

 কিশমিশ খুবই মিষ্টি ফল। এটি হচ্ছে শুকনো আঙুর। পুষ্টিগুণের কারণে বিভিন্ন সময় চিকিৎসকরা আঙুর কিংবা কিশমিশ খাওয়ার কথা বলে থাকেন। তবে বছরের প্রায় সময়ই কিশমিশ পাওয়া যায় বলে স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা এটি খাওয়ার পরামর্শ দেন। রকমারি ধরনের কিশমিশের মধ্যে কালো কিশমিশের উপকারিতার কথা বেশি আলোচিত।


পুষ্টিগুণের কারণে প্রতিদিন সকালে পানিতে ভেজানো কালো কিশমিশের পানি পানি পানের কথা বলা হয়। পানীয়টি সাধারণ মনে হলেও এতে প্রচুর পরিমাণ ভিটামিন, খনিজ ও অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট উপাদান বিদ্যমান। যা সামগ্রিকভাবে স্বাস্থ্যের উন্নতির জন্য কাজ করে। এর অন্যান্য স্বাস্থ্যগুণ নিয়ে একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস। প্রতিবেদনে কালো কিশমিশের রকমারি উপকারিতা জানিয়েছেন ভারতের নয়ডার ইয়াথার্থ সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালের ডায়েটিক্সের প্রধান ডায়েটিশিয়ান সুহানি শেঠ আগরওয়াল। তাহলে ভেজানো কালো কিশমিশের পানি পানের উপকারিতা জেনে নেয়া যাক।


হজমশক্তি উন্নত করা:

কালো কিশমিশ ডায়েটারি ফাইবারে ভরপুর। এটি হজমে সহায়তা করে এবং কোষ্ঠকাঠিন্য প্রতিরোধে কার্যকরী। কালো কিশমিশ ভিজিয়ে রাখা পানি পান করলে এর ফাইবার ভালোভাবে শোষণ, নিয়মিত মলত্যাগ ও অন্ত্রের স্বাস্থ্য ভালো করে।


শক্তি বৃদ্ধি:

কিশমিশ হচ্ছে শর্করা ও কার্বোহাইড্রেটের একটি প্রাকৃতিক উৎস। প্রতিদিন সকালে খাওয়া হলে এটি দ্রুত শক্তি বৃদ্ধি করে। বিপাক ক্রিয়া শুরু করতে এবং সারাদিন শক্তির মাত্রা বজায় রাখতে বিশেষভাবে কাআয়রনের উৎস:

কালো কিশমিশকে আয়রনের উৎসও বলা হয়। ভিজিয়ে রাখা পানি পানে রক্ত ভালো করে এবং রক্তাল্পতা প্রতিরোধে প্রয়োজনীয় আয়রনের দারুণ উৎস এই কালো কিশমিশ। এই পানি নিয়মিত পান করলে ক্লান্তি দূর হয়। হিমোগ্লোবিনের মাত্রা কম থাকা ব্যক্তিদের জন্যও বিশেষভাবে উপকারী এর পানি।


অ্যান্টিঅক্সিডেন্টে ভরপুর:

পলিফেনলের মতো অ্যান্টিঅক্সিডেন্টে ভরপুর থাকে কালো কিশমিশ। যা শরীরে অক্সিডেটিভ স্ট্রেস ও প্রদাহের বিরুদ্ধে লড়াই করতে সহায়তা করে। এটি সামগ্রিকভাবে স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী। দীর্ঘস্থায়ী রোগের ঝুঁকি এড়াতেও অবদান রাখে।


ত্বকের স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী:

কালো কিশমিশ থেকে পাওয়া ভিটামিন ও অ্যান্টিঅক্সিডেন্টগুলো স্বাস্থ্যকর, যা ত্বক উজ্জ্বল করতে অবদান রাখে। ফ্রি র‌্যাডিকেলের বিরুদ্ধে লড়াই করে এবং কোলাজেন উৎপাদনে ভূমিকা পালন করে। যা ত্বকের স্থিতিস্থাপকতা ও হাইড্রেশনের জন্য গুরুত্বপূর্ণ।জ করে।

Countdown Timer
00:01

Post a Comment

Previous Post Next Post