বেঙ্গালুরুর এইচসিজি ক্যান্সার সেন্টারের সিনিয়র কনসালট্যান্ট ডঃ প্রভু নেসারগিকার বলেছেন, তরুণদের মধ্যে কোলন ক্যান্সারের (Colorectal Cancer) সংখ্যা ক্রমেই বাড়ছে। তিনি সতর্ক করেছেন, প্রাথমিক পর্যায়ে সঠিক স্ক্রিনিং এবং জীবনধারার পরিবর্তন ক্যান্সার প্রতিরোধে গুরুত্বপূর্ণ।ডঃ নেসারগিকার জানান, কোলন ক্যান্সার সাধারণত বৃহদান্ত্রে ছোট ছোট বৃদ্ধি (পলিপ) থেকে শুরু হয়। বেশিরভাগ পলিপ নির্দোষ হলেও কিছু পলিপ প্রায় ১০ বছরের মধ্যে ক্যান্সারে পরিণত হতে পারে। ক্যান্সার ভিতরের স্তর থেকে শুরু করে ধীরে ধীরে অন্যান্য অংশে ছড়ায়।
ঝুঁকি বিষয়ক প্রধান কারণগুলো:
লিনচ সিন্ড্রোমের মতো উত্তরাধিকার সূত্রে প্রাপ্ত অবস্থান
পারিবারিক ইতিহাসে কোলন ক্যান্সার বা পলিএকাধিক বা উন্নত পলিপ থাকা
ধূমপান, স্থূলতা, অলস জীবনধারা
খাদ্যাভ্যাস: কম ফল ও সবজি, বেশি প্রসেসড মাংস ও চর্বি
অন্ত্রের প্রদাহ ও ব্যাকটেরিয়া ডঃ নেসারগিকার বলেন, “প্রারম্ভিক স্ক্রিনিং এবং পলিপ দ্রুত অপসারণ করা কোলন ক্যান্সার প্রতিরোধে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।”
লক্ষণ:
পেটের ব্যথা বা ক্র্যামল বা মলদ্বার থেকে রক্তপাত
মলের অভ্যাস পরিবর্তন, ব্যর্থ পায়খানা বোধ
অপ্রত্যাশিত ওজন হ্রাস, দুর্বলতা বা ক্লান্তি
প্রতিরোধমূলক পরামর্শ:
৪৫ বছর বয়সে কোলন ক্যান্সার স্ক্রিনিং শুরু করা (পরিবারে ইতিহাস থাকলে আগে)
অ্যালকোহল সীমিত করা
ধূমপান বা অন্যান্য তামাকজাত পণ্য এড়ানো
ফল, সবজি ও সম্পূর্ণ শস্য খাদ্যাভ্যাস
দৈনন্দিন অন্তত অর্ধ ঘণ্টা ব্যায়াম
স্বাস্থ্যকর ওজন বজায় রাখা
ডঃ নেসারগিকারের মতে, এই জীবনধারার পরিবর্তন এবং প্রাথমিক স্ক্রিনিং তরুণদের মধ্যে কোলন ক্যান্সারের ঝুঁকি কমাতে সহায়ক।
Post a Comment