পাপ করলে যে পরিণতি অবধারিত—তা কেবল আখিরাতেই নয়, অনেক সময় দুনিয়াতেও প্রকাশ পায়। আল্লাহ তায়ালা পাপীদের জন্য নির্ধারণ করে রেখেছেন ভিন্ন ভিন্ন শাস্তি। কারও জন্য জাহান্নামের আগুন, কারও কানে গলিত সীসা, আবার কারও পায়ে থাকবে আগুনের জুতা। তবে এমন কিছু পাপ আছে, যার শাস্তি হবে চেহারা বিকৃতির মাধ্যমে!
হ্যাঁ, যারা মদপান, জুয়া, গান-বাজনা ও অনর্থক কাজে লিপ্ত থাকে—আল্লাহ তাদের মুখমণ্ডলই বিকৃত করে দেবেন। এটা শুধু শারীরিক নয়, বরং এক ধরনের লাঞ্ছনাও, যা মানুষের সম্মান ও আত্মপরিচয়কে ধূলিসাৎ করে দেয়।
পবিত্র কোরআনে আল্লাহ তায়ালা মদ পানকে হারাম ঘোষণা করেছেন। বর্ণিত হয়েছে, ‘তারা তোমাকে মদ ও জুয়া সম্পর্কে জিজ্ঞেস করে। বলে দাও, এ দুটির মাঝে রয়েছে মহাপাপ। আর মানুষের জন্য উপকারিতাও রয়েছে, তবে এগুলোর পাপ উপকারিতা অপেক্ষা অনেক বড়।’ (সুরা: বাকারা ২১৯)
এক হাদিসে রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন, আমার উম্মতের কিছু লোক মদের নাম পাল্টিয়ে পান করবে। তাদের সামনে গায়িকারা বিভিন্ন বাদ্যযন্ত্রসহ গান করবে। আল্লাহ তায়ালা তাদেরকে ভূ-গর্ভে বিলীন করে দেবেন এবং কারো কারো আকৃতি বিকৃত করে বানর ও শূকরে পরিণত করে দেবেন। (বুখারি, হাদিস : ৫৫৯০, আবু দাউদ, হাদিস : ৪০৩৯)
ইবনে আব্বাস রাদিয়াল্লাহু আনহুমার বর্ণনায় আরেক হাদিসে রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন, আল্লাহ তায়ালা মদ, জুয়া, তবলা ও সারেঙ্গী হারাম করেছেন। তিনি আরও বলেন, নেশাগ্ৰস্ত করে এমন প্রত্যেক বস্তু হারাম। (আহমদ: ১/৩৫০, আবু দাউদ, হাদিস : ৩৬৯৮)
হজরত আনাস রা. বলেন, রসুল সা. মদের সঙ্গে সম্পৃক্ত দশ ব্যক্তিকে লানত করেছেন। ১. মদ প্রস্তুতকরী। ২. মদের ফরমায়েশ দানকারী। ৩. মদ পানকারী। ৪. মদ বহনকারী। ৫. যার কাছে মদ নিয়ে যাওয়া হয় সে ব্যক্তি। ৬. যে মদ পান করায়। ৭. মদ বিক্রেতা। ৮. মদের মূল্য ভোগকারী। ৯. মদ ক্রয়কারী। ১০. যার জন্য মদ ক্রয় করা হয়। (মেশকাত ২৭৭৬
Post a Comment