স্ট্রোক এড়াতে ডায়েটে রাখুন এই ৫টি স্বাস্থ্যকর খাবার

 শুধু প্রবীণদের স্ট্রোক হয়— এই ধারণা গত কয়েক বছরে ভেঙে গিয়েছে। আজকাল ৩০-এ পা দেওয়া কমবয়সিদেরও স্ট্রোকে (prevent stroke) মৃত্যু হচ্ছে। যখন ব্রেনের এক অংশে রক্ত সঞ্চালন বন্ধ হয়ে যায়, মস্তিষ্কে পর্যাপ্ত রক্ত ও পুষ্টি পৌঁছয় না, তখনই স্ট্রোক হয়। সমস্যা হলো, স্ট্রোক বলে কয়ে আসে না। স্ট্রোক হওয়ার কতক্ষণের মধ্যে রোগী চিকিৎসা পাচ্ছে, তার উপর নির্ভর করছে রোগী আদৌ সুস্থ হয়ে উঠতে পারবে না। অনেক সময় রোগীর মৃত্যু হয়, আবার অনেক ক্ষেত্রে শরীরের এক দিকের অংশ প্যারালাইজ় বা অকেজ হয়ে যায়।স্ট্রোক আচমকা এলেও এই রোগের ঝুঁকি রোজের অভ্যাসেই একটু একটু করে বাড়তে থাকে। অস্বাস্থ্যকর খাওয়া-দাওয়া, লাগামহীন জীবনযাপন, শরীরচর্চা না করা— এমন নানা কারণ রয়েছে স্ট্রোকের জীবনে। উচ্চ রক্তচাপ, ডায়াবিটিস, হৃদরোগ থাকলে স্ট্রোকের ঝুঁকি আরও বেড়ে যায়। সুতরাং স্ট্রোকের ঝুঁকি কমাতে হলে লাইফস্টাইলে নজর দিতে হবে। সবার আগে খাদ্যতালিকায় বদল আনা দরকার। সাধারণত বাড়িতে তৈরি খাবার খেলেই একাধিক রোগের ঝুঁকি এড়ানো যায়। পাশাপাশি ৫টি খাবার নিয়মিত খেলে স্ট্রোকের ঝুঁকি এড়াতে পারবেন।শাক

শাকের কোনও বিকল্প নেই। বাজারে হরেক রকম শাকপাতা পাওয়া যায়। পুঁইশাক, কুমড়ো শাক, লাউ শাক, পালং শাক ইত্যাদি। শাকের মধ্যে বিভিন্ন ধরনের ভিটামিন, ফাইবার ও অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট থাকে, যেগুলো হৃদরোগের ঝুঁকি প্রতিরোধ করে, হার্টের ব্লকেজ বা ব্রেনে ব্লাড ক্লট তৈরি করতে দেয় না।


আখরোট 

আখরোটের মধ্যে আলফা লিনোলেনিক অ্যাসিড রয়েছে, যা এক ধরনের ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড। এই উপাদান শরীরের প্রদাহ কমায়, রক্তচাপ স্বাভাবিক রাখে এবং স্ট্রোকের ঝুঁকি প্রতিরোধ করে। হার্টের স্বাস্থ্যের জন্য ভীষণ উপযোগী আখরোট।


সাইট্রাস ফল

যে সব ফলের মধ্যে ভিটামিন সি, পটাশিয়াম, ফ্ল্যাভনয়েডের মতো উপাদান রয়েছে, সেগুলো ডায়েটে রাখতে পারেন। এ ক্ষেত্রে লেবুজাতীয় ফল, কিউইয়ের মতো ফল খেতে পারেন। এতে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট রয়েছে, যা ফ্রি র‍্যাডিকেলের সঙ্গে লড়াই করে অক্সিডেটিভ স্ট্রেস কমায় এবং ক্রনিক অসুখের ঝুঁকি প্রতিরোমাছ

রোজের খাদ্যতালিকায় অবশ্যই মাছ রাখুন। মাছের শুধু প্রোটিনের ঘাটতি পূরণ করে না, এই খাবারেও ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড পাওয়া যায়। এই হেলদি ফ্যাট আদতে শরীরের জন্য উপকারী। এটি রক্তে খারাপ কোলেস্টেরলের মাত্রা কমায় এবং হার্টের অসুখ প্রতিরোধ করে।


টকদই

রোজের পাতে টকদই রাখলে দারুণ উপকারিতা পাবেন। টকদইয়ের মধ্যে পটাশিয়াম, প্রোটিন ও ভিটামিন ডি রয়েছে। এই সব উপাদান দেহে সোডিয়াম-পটাশিয়ামের ভারসাম্য বজায় রাখে, রক্তনালীগুলোকে সচল রাখে এবং হার্টের যত্ন নেয়। পাশাপাশি পেটের সমস্যা থেকেও মুক্তি দেয়। Countdown Timer

00:01

Post a Comment

Previous Post Next Post