আপনার প্রতিদিনের এই অভ্যাসই মাথা ব্যথার কারণ? জানলে অবাক হবেন!

 মাথা ব্যথা আমাদের দৈনন্দিন জীবনের একটি খুব সাধারণ সমস্যা। এটি যে কোনো সময় হতে পারে এবং এর কারণে আমাদের কর্মক্ষমতা অনেক কমে যায়। অনেকেই মাথাব্যথার জন্য তাৎক্ষণিক ব্যথানাশক ওষুধ খান। তবে বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই মাথা ব্যথার কারণ কোনো গুরুতর রোগ নয়, বরং আমাদের কিছু সাধারণ অভ্যাস।আপনার প্রতিদিনের এমন কিছু অভ্যাস নিচে তুলে ধরা হলো, যা মাথাব্যথার কারণ হতে পারে। জানলে আপনি অবাক হবেন!


১. ঘুমের অনিয়ম

পর্যাপ্ত ঘুম না হলে বা অনিয়মিত ঘুমালে মাথা ব্যথা হতে পারে। ছুটির দিনে অতিরিক্ত ঘুমানোও কিন্তু মাথাব্যথার একটি সাধারণ কারণ, যাকে 'উইকেন্ড হেডেক' বলা হয়। ঘুমের অভাব বা অতিরিক্ত ঘুম উভয়ই মস্তিষ্কে কিছু রাসায়নিকের ভারসাম্য নষ্ট করে, যার ফলে মাথা ব্যথা ২. শরীরে পানিশূন্যতা

সারাদিন পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান না করলে শরীর পানিশূন্য হয়ে যায়। এর ফলে মস্তিষ্কের রক্তনালীগুলো সংকুচিত হয়, যা তীব্র মাথাব্যথার কারণ হতে পারে। অনেকেই এই ধরনের মাথাব্যথাকে সাধারণ ক্লান্তি মনে করেন৩. অতিরিক্ত স্ক্রিন টাইম

কম্পিউটার, মোবাইল ফোন বা টেলিভিশনের স্ক্রিনে দীর্ঘ সময় ধরে তাকিয়ে থাকলে চোখের পেশীগুলোতে চাপ পড়ে। এর ফলে চোখে ব্যথা এবং মাথাব্যথা হয়। এটিকে ডিজিটাল আই স্ট্রেইনও বলা হয়৪. অস্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাস

নিয়মিত খাবার না খাওয়া বা অনেকক্ষণ ধরে খালি পেটে থাকলে রক্তে শর্করার মাত্রা কমে যায়, যা মাথাব্যথা সৃষ্টি করে। আবার, কিছু নির্দিষ্ট খাবার যেমন অতিরিক্ত ক্যাফেইন, প্রক্রিয়াজাত মাংস, বা পুরোনো চিজও মাইগ্রেনের মতো মাথাব্যথার কারণ হতে পারে৫. মানসিক চাপ

দৈনন্দিন জীবনের মানসিক চাপ, দুশ্চিন্তা বা অবসাদ টেনশন হেডেক বা মাথাব্যথার সবচেয়ে সাধারণ কারণ। যখন আপনি মানসিক চাপে থাকেন, তখন ঘাড় এবং মাথার পেশীগুলো শক্ত হয়ে যায়, যা ব্যথা সৃষ্টি করে৬. খারাপ ভঙ্গি

দীর্ঘক্ষণ ধরে ভুল ভঙ্গিতে বসে কাজ করলে, যেমন: ঝুঁকে বসে কম্পিউটার ব্যবহার করা বা ঘাড়ে ফোন রেখে কথা বলা, আপনার ঘাড় ও কাঁধের পেশীগুলোতে চাপ পড়ে। এই চাপ থেকে পরবর্তীতে মাথাব্যথা হতে পারে।


এই অভ্যাসগুলো থেকে মুক্তি পেতে চেষ্টা করুন। তাহলে মাথাব্যথা থেকে অনেকটাই মুক্তি পাবেন। যদি আপনার মাথাব্যথা নিয়মিত হয় এবং এর তীব্রতা বেশি থাকে, তাহলে অবশ্যই একজন চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া উচিত।

Countdown Timer
00:01

Post a Comment

Previous Post Next Post