পিঠ-কোমরের ব্যথা হতে পারে কিডনিতে পাথরের সংকেত, যে লক্ষণে বুঝবেন

 

অনেক সময় হঠাৎ করে কোমরের নিচে বা পিঠের একপাশে তীব্র ব্যথা অনুভব হয়। সাধারণত এমন ব্যথাকে পেশিতে টান বা গ্যাসের সমস্যা বলে ধরে নেওয়া হয়। অনেকে আবার ‘ব্যাকপেইন’ ভেবে উপেক্ষা করেন। কিন্তু চিকিৎসকদের মতে, এই ব্যথা কিডনিতে পাথর হওয়ার প্রাথমিক সংকেত হতে পারে।এমন ব্যথা যদি ঘন ঘন হয় বা দীর্ঘদিন ধরে হয়ে থাকে তাহলে সন্দেহ সত্য হতে পারে। কিডনিতে পাথর হলে প্রস্রাবের প্রবাহ বন্ধ হয়ে যেতে পারে। এতে কিডনিতে চাপ বাড়ে এবং সংক্রমণ বা স্থায়ী ক্ষতি হওয়ার আশঙ্কা থাকে। তাই সময়মতো চিকিৎসা করানো জরুরি।পিঠে-কোমরের ব্যথা কিডনির সমস্যার কারণে কি না, কিভাবে বুঝবেন


ব্যথার প্রকৃতি ও তীব্রতা : কিডনির পাথরের ব্যথা সাধারণত হঠাৎ শুরু হয়। অত্যন্ত তীব্র হয়ে থাকে। যারা এই ব্যথায় ভোগেন, তারা এটিকে এক ধরনের ছুরিকাঘাতের মতো অনুভূতি হিসেবে বর্ণনা করেন, যেন ভেতর থেকে কেউ চেপে ধরছে বা খোঁচাচ্ছে। কখনো কখনো এই ব্যথা এতটাই তীব্র হয় যে বমি বমি ভাব বা বমি পর্যন্ত হতে পারে।


অন্যদিকে, সাধারণ পিঠের ব্যথা বা গ্যাসের ব্যথা তুলনামূলকভাবে মৃদু, দীর্ঘস্থায়ী এবং পেশিতে টান ধরার মতো অনুভূতব্যথার অবস্থান ও গতিবিধি : পাঁজরের নিচের অংশ থেকে কোমর পর্যন্ত বা পিঠের একপাশে হঠাৎ তীব্র ব্যথা শুরু হওয়াও কিডনিতে পাথর হওয়ার সাধারণ লক্ষণ। ব্যথা ঢেউয়ের মতো আসতে পারে এবং কয়েক মিনিট থেকে ঘণ্টা পর্যন্ত স্থায়ী হতে পারে।


ব্যথা নিচে ছড়িয়ে পড়া : অনেক সময় কিডনির স্টোনের কারণে ব্যথা পেটের নিচের অংশ, কুঁচকি বা পুরুষদের ক্ষেত্রে অণ্ডকোষ পর্যন্ত ছড়িয়ে যায়। পাথরের অবস্থান বদলালে ব্যথার দিকও বদলাতে পারেঅন্যদিকে, সাধারণ পিঠের ব্যথা একটি নির্দিষ্ট স্থানে স্থির থাকে, মনে হয় যেন পেশিতে টান লেগেছে। গ্যাসের ব্যথা সাধারণত পেট বা ওপরের পেটের দিকে অনুভূত হয়।

ব্যথার সঙ্গে যুক্ত অন্যান্য লক্ষণ : কিডনিতে পাথরের ব্যথার সঙ্গে প্রস্রাবের সময় জ্বালা, ঘন ঘন প্রস্রাবের তাগিদ, বা প্রস্রাবের সময় তীব্র অস্বস্তি হতে পারে। কোনো কোনো ক্ষেত্রে প্রস্রাব হঠাৎ কমে যাওয়া বা একেবারে বন্ধ হয়ে যেতেও দেখা যায়।। হয়।

Countdown Timer
00:01

Post a Comment

Previous Post Next Post