টিনএজ হরমোন ও কৈশোরের সঙ্গে লড়াই করতে গিয়ে শিশুদের ত্বকে ব্যারিয়ারের দুর্বলতা সমস্যা আরো বাড়িয়ে দিতে পারে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, সিরাম, সাপ্লিমেন্ট বা ফেশিয়াল ছাড়াও ত্বকের স্বাস্থ্যের জন্য খাদ্যও অত্যন্ত জরুরি। তাই আপনার সন্তানের ত্বক সুস্থ রাখতে ডায়েটে এই খাবারগুলো অবশ্যই অন্তর্ভুক্ত করতে হবে।
কনসালট্যান্ট ডার্মাটোলজিস্ট, কসমেটিক ডার্মাটোলজিস্ট ও ডার্মা-সার্জন ডা. রিঙ্কি কাপুর বলেন, সঠিক খাবার ত্বকের কোলাজেন উৎপাদন বাড়িয়ে দেসেইসঙ্গে প্রয়োজনীয় পুষ্টি, মিনারেল, অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট ও প্রোটিন যোগ করে। এতে টিস্যু শক্ত হয়, সেল মেমব্রেন মজবুত হয় এবং ইউভি বা পরিবেশগত দূষণের মতো স্ট্রেসর থেকে ত্বক রক্ষা পায়।
এই বিশেষজ্ঞ আরো বলেন, ভিটামিন এ এবং ই সমৃদ্ধ খাবার ইমিউনিটি বাড়ায় এবং সেল ক্ষত মেরামত করে। এ ছাড়া ভিটামিন সি সমৃদ্ধ কমলা, লেবু, আমলা ও গ্রেপফ্রুট অ্যান্টি-অক্সিডেন্টে সমৃদ্ধগাজর বিটা-ক্যারোটিনের উৎকৃষ্ট উৎস, যা রেটিনলের মত প্রভাব ফেলে; টমেটোতে থাকা লাইকোপেন ইউভি ক্ষতি থেকে ত্বককে রক্ষা করে। তাই সন্তানের ত্বক সুস্থ রাখতে ডায়েটে যোগ করতে পারেন এই ৫টি খাবার।শাক-সবজি
স্পিনাচ, কেল, আরুগুলা—এগুলো শুধু সালাদের ভরসাই নয়; সি এবং ই ভিটামিনের মত অ্যান্টি-অক্সিডেন্টে পুষ্ট। এগুলো ইউভি ক্ষতি ও পরিবেশগত আক্রমণকারীদের বিরুদ্ধে লড়ে ত্বককে তারুণ্যের মতো সতেজ ও দীপ্ত রাখে।
শাক-পাতায় জলীয় উপাদান বেশি থাকায় হাইড্রেশনেও সহায়তা করে।
ফ্যাটি মাছ
মাছ ও ফ্ল্যাক্সসিডে থাকা ওমেগা-৩ ফ্যাটি এসিডগুলো প্রদাহহ্রাসী গুণ রাখে। এগুলো ত্বকের স্বাস্থ্যের জন্যবেরি
বেরিজাতীয় ফলগুলো অ্যান্টি-অক্সিডেন্টে সমৃদ্ধ এবং চিনি কম। বিশেষত অ্যানথোসায়ানিন হিসেবে পরিচিত উপাদানে ভরপুর, যা ত্বককে রক্ষা করেব্লুবেরি, স্ট্রবেরি বা রাস্পবেরি—সবই ভিটামিন এ, সি এবং ই-তে ভরপুর; যা ত্বককে উজ্জ্বল ও সুস্থ রাখে। বিশেষজ্ঞদের মতে, কিউই ও কমলা ভিটামিন সি-র ভালো উৎস, যা কোলাজেন গঠনে সহায়ক। কোলাজেন ত্বকে প্রাচুর্য আনে এবং ত্বককে স্বাস্থ্যবান রাখে। ভিটামিন সি একটি অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট হিসেবেও কাজ করে এবং দৈনন্দিন স্ট্রেস থেকে ত্বককে রক্ষা করে।বাদাম ও বীজ
বাদামজাত ও শুকনো ফল—বাদাম, আখরোট ও কিশমিশ—প্রয়োজনীয় ফ্যাটি এসিড ও মাইক্রোনিউট্রিয়েন্ট সরবরাহ করে, যা ত্বককে আর্দ্র ও ইলাস্টিক রাখে।
দই বা ইয়োগার্ট
প্রো-বায়োটিকস হলো জীবন্ত ব্যাকটেরিয়া—যেগুলোকে ‘ভালো’ ব্যাকটেরিয়া বলা হয়। পর্যাপ্ত পরিমাণে খেলে এগুলো বহু স্বাস্থ্যগত সুবিধা দেয়। প্রাকৃতিকভাবে ফারমেন্টেড খাবারে যেমন দই, কেফির, কিমচি, সাউরক্রাউট এবং কিছু সাপ্লিমেন্টে প্রো-বায়োটিক পাওয়া যায়। এগুলো গাট মাইক্রোবায়োমের ভারসাম্য ফিরিয়ে আনতে সাহায্য করে এবং ত্বকের প্রদাহ কমায়। এগুলো আবার ব্রণ ও ত্বকের অন্যান্য সমস্যায়ও উপকারী। উদীয়মান এক গবেষণায় দেখা গেছে, প্রো-বায়োটিক ত্বকের আর্দ্রতা বাড়াতে এবং উজ্জ্বল চেহারা আনতেও সাহায্য করতে পারে।
গাটের স্বাস্থ্য ভালো রাখায় এগুলো ডায়রিয়া, আইবিএস ও কোষ্ঠকাঠিন্যের মতো সমস্যাও কমাতে পারে। তবে দুর্বল ইমিউন সিস্টেম বা গম্ভীর স্বাস্থ্যগত সমস্যা থাকলে প্রো-বায়োটিক সাপ্লিমেন্ট নেওয়ার আগে চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া উচিত। কারণ, কিছুক্ষেত্রে সংক্রমণের ঝুঁকি থাকডা, রিঙ্কি কাপুর সবশেষে বলেন, পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান করে হাইড্রেটেড থাকা জরুরি এবং অবশ্যই অ্যালকোহল এড়িয়ে চলতে হবে। কারণ তা ত্বকের পানি কমায় এবং লালচে ভাব ও প্রদাহ বাড়ায়।তে পারে।। ভালো।।য়।
Post a Comment