মুখে ঘা: কোন ভিটামিন দায়ী, করণীয়ই বা কী?

 মুখে ঘা—হঠাৎ করেই জিহ্বা, ঠোঁট কিংবা মাড়িতে ছোট ছোট সাদা বা লালচে ক্ষত দেখা দেয়, যেটি খাওয়াদাওয়া থেকে শুরু করে কথা বলায়ও ভোগান্তি তৈরি করে। অনেকেই একে সাধারণ সমস্যা ভেবে অবহেলা করেন। কিন্তু বিশেষজ্ঞদের মতে, ঘন ঘন বা দীর্ঘস্থায়ী মুখের ঘার অন্যতম কারণ হচ্ছে ভিটামিনের ঘাটতি।


কোন ভিটামিনের অভাবে হয় ঘা?


ডাক্তাররা বলছেন, মুখে ঘা হওয়ার ক্ষেত্রে সবচেয়ে বেশি দায়ী ভিটামিন বি-কমপ্লেক্স গ্রুপের ভিটামিন। এর মধ্যে—

ভিটামিন বি-২ (রাইবোফ্লাভিন), ভিটামিন বি-৩ (নিয়াসিন), ভিটামিন বি-৬ (পাইরিডক্সিন), ভিটামিন বি-৯ (ফোলেট), ভিটামিন বি-১২।


এছাড়া ভিটামিন সি, আয়রন ও জিঙ্কের অভাবও মুখে ঘা তৈরিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। এসব ঘাটতির কারণে ঠোঁট ফেটে যাওয়া, জিহ্বায় জ্বালা-পোড়া কিংবা মুখের ভেতরে ঘন ঘন আলসার হওয়ার মতো সমস্যা দেখা দেয়।


করণীয় কী?


খাদ্যতালিকায় ভিটামিন সমৃদ্ধ খাবার রাখা। যেমন দুধ, ডিম, মাছ, কলিজা, ডাল, বাদাম, সবুজ শাকসবজি, কমলা, পেয়ারা, আমলকি, লেবুজাতীয় ফল। 


পানি বেশি পান করা। যেমন শরীরে পানিশূন্যতা থাকলে ঘা আরও বাড়তে পারে, তাই প্রতিদিন পর্যাপ্ত পানি পান জরুরি।


ঝাল-মশলাদার খাবার এড়িয়ে চলা। অতিরিক্ত ঝাল বা গরম খাবার মুখের ক্ষতকে আরও জটিল করতে পারে।


ভিটামিন সাপ্লিমেন্ট গ্রহণয চিকিৎসকের পরামর্শে ভিটামিন বি-কমপ্লেক্স ও ভিটামিন সি ট্যাবলেট খাওয়া যেতে পারে।


চিকিৎসকরা বলছেন, মুখে ঘা যদি দীর্ঘদিন স্থায়ী হয় বা ঘন ঘন হয়, তবে এটি কেবল ভিটামিনের অভাব নয়—বরং লুকানো অন্য কোনো শারীরিক সমস্যার ইঙ্গিতও হতে পারে। তাই এ অবস্থায় অবহেলা না করে দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হওয়া উচিত।


অর্থাৎ, মুখে ঘা হলে শুধু ওষুধের ওপর নির্ভর না করে দৈনন্দিন খাদ্যাভ্যাস ও পুষ্টির দিকেও নজর দেওয়া সবচেয়ে জরুরি।

Countdown Timer
00:01

Post a Comment

Previous Post Next Post