কফি আসলেই ত্বকের উপকারে আসে, নাকি ক্ষতি করে?

 

সকালের ঘুম ঘুম ভাব ভাঙাতে, ক্লান্তি দূর করতে কিংবা বন্ধুদের আড্ডায় এক কাপ কফি যেন জাদুর মতো কাজ করে। তবে রূপ ও স্বাস্থ্য সচেতনতার কারণে অনেকের কাছেই এখন প্রশ্ন, কফি আমাদের ত্বকের জন্য কতটা ভালো বা ক্ষতিকর?



কারও মতে কফি ত্বককে উজ্জ্বল করে, আবার কারও মতে এটি ত্বকে শুষ্কতা বা ব্রণ তৈরি করে। তাহলে আসলে সত্যিটা কী? চলুন জেনে নেই চলুন সহজভাবে জেনে নিই কফি আসলেই ত্বকের উপকারে আসে, নাকি ক্ষতি করে?



কফির যেসব উপকার ত্বকের জন্য ভা১. অ্যান্টি-অক্সিডেন্টে ভরপুর : কফির মধ্যে থাকে অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট, যা ত্বককে পরিবেশের ক্ষতিকর প্রভাব থেকে রক্ষা করে। এটি ত্বকের বয়সের ছাপ কমিয়ে আনে এবং ত্বককে সজীব রাখে।



২. চেহারার ফোলাভাব কমাতে সাহায্য করে : কফিতে থাকা ক্যাফেইন চেহারার ফোলাভাব ও লালচে ভাব কমাতে পারে। এজন্য অনেক চোখের নিচের ক্রিমে ক্যাফেইন ব্যবহৃত হয়, যাতে ডার্ক সার্কেল বা ফোলাভাব কিছুটা কমানো যায়।



৩. রক্ত সঞ্চালন বাড়ায় : ত্বকে কফি ব্যবহার করলে রক্ত সঞ্চালন বাড়ে। এর ফলে ত্বক কিছুটা উজ্জ্বল এবং প্রাণবন্ত দেখায়। অনেকেই এজন্য কফি স্ক্রাব ব্যবহার করেন।



৪. এক্সফোলিয়েশন বা মৃত কোষ দূর করে : গুঁড়া কফি ত্বকের জন্য একটি প্রাকৃতিক স্ক্রাব হিসেবে কাজ করে। এটি ত্বকের ওপর জমে থাকা মৃত কোষ সরিয়ে দেয়, ফলে ত্বক মসৃণ ও উজ্জ্বকফির কিছু সম্ভাব্য ক্ষতিকর দিক



১. ত্বক শুষ্ক হয়ে যেতে পারে : যদি অতিরিক্ত কফি পান করা হয়, তাহলে শরীর ডিহাইড্রেট হয়ে পড়তে পারে। এর প্রভাব ত্বকেও পড়ে। ত্বক শুষ্ক, নির্জীব ও রুক্ষ দেখায়।



২. চর্ম রোগ বা ব্রণের সমস্যা বাড়াতে পারে : অতিরিক্ত কফি খেলে শরীরে কর্টিসল নামের স্ট্রেস হরমোন বেড়ে যায়। এতে ত্বকে ব্রণ বা ফুসকুড়ি তৈরি করতে পারে। এমনকি যাদের একজিমার সমস্যা আছে, তাদের ক্ষেত্রেও সমস্যা বাড়তে পারে।



৩. ত্বকে র‍্যাশ বা জ্বালা হতে পারে : কফি দিয়ে স্ক্রাব করার সময় যদি খুব ঘষে ঘষে ব্যবহার করা হয়, তাহলে ত্বকে র‍্যাশ, লালচে ভাব বা চুলকানি দেখা দিতে পারে। সংবেদনশীল ত্বকে এটা আরও বেশি হতে পারে।



৪. দাগের আশঙ্কা : যদি কফি দিয়ে তৈরি স্ক্রাব ঠিকমতো পরিষ্কার না করা হয়, তাহলে ত্বকে দাগ বা জমে থাকা কফির গুঁড়া ত্বকের ছিদ্র বন্ধ করে দিতে পারে।



কিভাবে কফি ব্যবহার করলে ত্বক নিরাপদ থাকে



পরিমাণমতো পান করুন : দিনে ১/২ কাপ কফি যথেষ্ট এবং সঙ্গে অনেক পানি পান করুন যাতে শরীর ডিহাইড্রেট না হয়।



ঘন ঘন স্ক্রাব করবেন না : সপ্তাহে ১ বা ২ বার কফি স্ক্রাব ব্যবহার করলেই যথেষ্ট। বেশি করলে ত্বক ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে।



ভালো মানের প্রসাধনী ব্যবহার করুন : কফি বা ক্যাফেইনযুক্ত ত্বকের যত্নের পণ্য ব্যবহার করার আগে দেখে নিন তাতে ক্ষতিকর কিছু আছে কি না।



প্যাচ টেস্ট করে নিন : যে কোনো নতুন কিছু ত্বকে ব্যবহার করার আগে হাতে বা কানের পেছনে একটু ব্যবহার করে দেখুন ত্বকে অ্যালার্জি হচ্ছে কি না।



কফি ত্বকের বন্ধু নাকি শত্রু? জবাব উভয়ই হতে পারে। এটা নির্ভর করে আপনি কীভাবে কফি ব্যবহার করছেন তার ওপর। পরিমিতভাবে কফি পান করলে এবং ঠিকমতো ত্বকে প্রয়োগ করলে এটি ত্বকের জন্য ভালোই হতে পারে। তবে অতিরিক্ত কফি খাওয়া বা খুব ঘন ঘন কফি স্ক্রাব ব্যবহার করলে ত্বকের ক্ষতি হতে পারে।



সঠিক ব্যবহার, পর্যাপ্ত পানি পান, আর সঠিক স্কিনকেয়ার রুটিন- এই তিনটি মানলে কফি আপনার ত্বকের ভালো বন্ধুই হয়ে উঠতে পারে।ল হয়।লোআজ।

Countdown Timer

Post a Comment

Previous Post Next Post