অল্প বয়সেই মৃত্যু হতে পারে যেসব ভিটামিনের অভাবে!

 ভিটামিন এ: অন্ধতা ও সংক্রমণের ঝুঁকি

ভিটামিন এ দৃষ্টিশক্তি, ত্বকের স্বাস্থ্য এবং রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতার জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এর অভাবে রাতকানা রোগ, ত্বকের শুষ্কতা এবং সংক্রমণের প্রবণতা বৃদ্ধি পায়। শিশুদের ক্ষেত্রে এই ঘাটতি মারাত্মক হতে পারে।


সাম্প্রতিক তথ্য: বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মতে, প্রতি বছর প্রায় ৬ লাখ শিশু ভিটামিন এ-এর অভাবে অপুষ্টি ও সংক্রমণজনিত রোগে ভুগছে, যার মধ্যে অনেকেই মৃত্যুর ঝুঁকিতে থাকে। উন্নয়নশীল দেশগুলোতে শিশুদের অন্ধত্বের অন্যতম কারণ এই ভিটামিনের অভাব।


লক্ষণ: রাতকানা, ত্বকের শুষ্কতা, ঘন ঘন সংক্রমণ, শিশুদের বৃদ্ধি বাধাগ্রস্ত হওয়া।

ঝুঁকি: অন্ধত্ব, মারাত্মক সংক্রমণ এবং মৃত্যু।

প্রতিরোধ: গাজর, পালং শাক, মিষ্টি আলু, মাছের তেল এবং দুগ্ধজাত পণ্যের মতো ভিটামিন এ সমৃদ্ধ খাবার গ্রহণ। শিশুদের জন্য ভিটামিন এ সাপ্লিমেন্ট প্রোগ্রাম।


প্রতিরোধ ও সমাধান: কী করা উচিত?

ভিটামিনের অভাবজনিত মৃত্যুর ঝুঁকি কমাতে ব্যক্তি ও সমাজ পর্যায়ে বেশ কিছু পদক্ষেপ গ্রহণ করা যেতে পারে।


সুষম খাদ্যাভ্যাস: ফল, শাকসবজি, পূর্ণ শস্য, মাংস, মাছ এবং দুগ্ধজাত পণ্য সমৃদ্ধ খাদ্য গ্রহণ করা। নিরামিষাশীদের জন্য ফর্টিফায়েড খাবার এবং সাপ্লিমেন্ট গ্রহণ অত্যন্ত গুসূর্যালোক গ্রহণ: ভিটামিন ডি-এর ঘাটতি কমাতে সকালের নরম সূর্যালোক গ্রহণ করা।


স্বাস্থ্য পরীক্ষা: নিয়মিত রক্ত পরীক্ষার মাধ্যমে ভিটামিনের মাত্রা পর্যবেক্ষণ করা, বিশেষ করে বি১২ এবং ডি।


চিকিৎসকের পরামর্শ: কোনো ভিটামিন সাপ্লিমেন্ট গ্রহণের আগে চিকিৎসকের সঙ্গে পরামর্শ করা, আর অতিরিক্ত ভিটামিন গ্রহণও স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর হতে পারে।


এই প্রতিবেদন তথ্য প্রদানের উদ্দেশ্যে তৈরি করা হয়েছে। কোনো স্বাস্থ্য সমস্যা বা চিকিৎসার জন্য অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।

Countdown Timer
00:01

Post a Comment

Previous Post Next Post