অনিশ্চয়তা-জ্বালানি সংকটে ‘গতি আসছে না’ অর্থনীতিতে
রাজনৈতিক অনিশ্চয়তা, জ্বালানি সংকট ও সুদের হার বৃদ্ধির কারণে অর্থনীতিতে গতি আসছে না বলে মনে করছেন ঢাকা চেম্বার অ্যান্ড কমার্স ইন্ডাস্ট্রিজের (ডিসিসিআই) সভাপতি তাসকিন আহমেদ। শনিবার মতিঝিলে সংগঠনটির কার্যালয়ে ‘বেসরকারি খাতের চোখে অর্থনীতির সামগ্রিক চিত্র ও করণীয়’ শীর্ষক এক সেমিনারে এ মন্তব্য করেন তিনি। এসময় ব্যবসার পরিবেশের উন্নয়ন ও বিনিয়োগ বাড়াতে সরকারি নীতি সহায়তার দাবি জানান ব্যবসায়ীরা।
ব্যবসায়ীদের অভিযোগ, জ্বালানি সংকট নিরসনে কার্যকর উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে না। ব্যাংক খাতে সুশাসন নিশ্চিত না হওয়ায় বড় বিনিয়োগে সাহস পাচ্ছেন না উদ্যোক্তারা। সব মিলিয়ে কয়েক বছর ধরে বেসরকারি খাতে বাড়ছে না বিনিয়োগ। ডিসিসিআই সভাপতি তাসকিন আহমেদ বলেন, ‘গত মাসে একটি রেকোমেন্ডেশন এসেছে যে (জ্বালানির) আরও প্রায় ১০০ ভাগ দাম বৃদ্ধির জন্য। আমরা এখানে বিভিন্ন খাতে কাজ করি, বিশেষ করে যেগুলো জ্বালানি নির্ভর যেমন স্টিল, সিমেন্ট যদি দেখা যায়, প্রত্যেকটা শিল্প বন্ধের দিকে চলে যাচ্ছে।’ অর্থনীতির গতি না থাকার জন্য বিগত সরকারের সমালোচনা করেন অর্থনীতিবিদরা। তারা বলেন, উচ্চ মূল্যস্ফীতির সময়ে টাকা ছাপানো ছিল আত্মঘাতী সিদ্ধান্ত। যার নেতিবাচক প্রভাব এখনও বইতে হচ্ছে জনগণকে। অর্থনীতিবিদ মাশরুর রিয়াজ বলেন, ‘জুলাই পর্যন্ত একটা আত্মঘাতী কাজ হচ্ছিল, মূল্যস্ফীতির জন্য আমি বলব। টাকা ছাপানো হচ্ছিল অলমোস্ট দেদারসে। বাধ্য হয়ে অনেক সময় টাকা ছাপাতে হতে পারে এটা নিয়ে কোনো সন্দেহ নাই। পৃথিবীর অনেক দেশই ছাপায়। কিন্তু নরমালি হাই ইনফ্লেশনের সময় হাই পাওয়ার্ড মানি, এটা যত বেশি ছাপানো হবে ইনফ্লেশনের যুদ্ধটা আরও দীর্ঘায়িত হবে।’
ব্যবসার পরিবেশ সহজ করতে সরকারি কাজের গতি বাড়ানোয় জোর দেন বাণিজ্য সচিব আব্দুর রহিম খান। রাজস্ব বাড়াতে এনবিআরকে আধুনিকায়নের তাগিদ তার।
বাণিজ্য সচিব বলেন, ‘অটোমেশন হচ্ছে না, ন্যাশনাল সিঙ্গেল ইউনডো হচ্ছে না। আমি যদি ন্যাশনাল সিঙ্গেল ইউনডোটাও বাস্তবায়ন করতে পারি পুরোপুরি তাহলে আজকে যারা ডিসিসিআইয়ে বসে ব্যবসার স্বপ্ন দেখছেন, জটিলতায় ভুগছেন তা কিন্তু অনেক বেশি কমে যায়।’
টেকসই সুবিধা পেতে আর্থিক খাতে সঠিক সংস্কারের তাগিদও দেন সেমিনারের বক্তারা।
Countdown Timer
00:01
Post a Comment