উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে যা খাবেন
উচ্চ রক্তচাপ এমন একটি রোগ, যা নিয়ন্ত্রণে না রাখলে- হার্টের অসুখ ও কিডনি রোগের ঝুঁকি বাড়ে। যাদের উচ্চ রক্তচাপের সমস্যা রয়েছে, তারা নিয়মিত ওষুধ না খেলে রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণের বাইরে যায়। উচ্চ রক্তচাপের কারণে মস্তিস্কে রক্ত ও রক্তে অক্সিজেনের প্রবাহ কমে যেতে পারে।
উচ্চ রক্তচাপের ঝুঁকি এড়াতে জীবনযাপনের পরিবর্তন আনা প্রয়োজন। ওজন স্বাভাবিক রাখা প্রয়োজন। এ ছাড়া ফাস্টফুড বা রাস্তার দোকানের তেলযুক্ত খাবার বাদ দিতে হবে। প্রতিদিনের খাবারের তালিকায় শাকসবজি ও ফলমূল রাখতে হবে। অতিরিক্ত চা-কফি, কোমল পানীয় ও অন্যান্য ক্যাফেইন জাতীয় পানীয় পান বন্ধ করতে হবে। লবণের কারণে প্রেশার বাড়ে। তাই লবণ খাওয়ার ক্ষেত্রে সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে। অনেক সময় দেখা হাসপাতালে ভর্তিতে থাকা রোগীকে অপারেশন থিয়েটারে নিয়ে যাওয়া যাচ্ছে না, কারণ তাঁর রক্তচাপ কমছে না। রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখতে শুধু ওষুধ নয়, ওষুধের পাশাপাশি রোগী কী খাচ্ছেন তা গুরুত্বপূর্ণ।
আসুন জেনে নিন, কোন কোন খাবার রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখতে সহায়তা করে।
১. কলাতে রয়েছে পটাশিয়াম, ভিটামিন সি, ভিটামিন বি৬, দ্রবণীয় ফাইবারসহ আরো অনেক পুষ্টিকর উপাদান। কলা এমন একটি ফল, যা বছরের বেশির ভাগ সময়ই উৎপন্ন হয়। কলা পটাশিয়ামের ভালো উৎস। কলাতে থাকা পটাশিয়াম রক্তচাপের মাত্রা স্বাভাবিক রাখে।
২. উচ্চ রক্তচাপ হার্টের অসুখের অন্যতম কারণ। বিটরুটের জুস উচ্চ রক্তচাপ কমায়। বিট রুটে আছে নাইট্রেট। এই নাইট্রেট আমাদের দেহে প্রবেশ করে নাইট্রিক অক্সাইডে পরিণত হয়। নাইট্রিক অক্সাইডের ফলে সিস্টোলিক ও ডায়াস্টোলিক দুই ধরনের রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে থাকে। এতে হৃদ্রোগ ও স্ট্রোকের ঝুঁকি কমে।
৩. তরমুজ স্বাস্থ্যের খুবই উপকার। এই ফলের মধ্যে পানির পরিমাণ বেশি হওয়ায় দূর করে শরীরের ক্লান্তিভাব। তরমুজ ভিটামিন এ ও সি সমৃদ্ধ, যা রোগ প্রতিরোধকারী এবং শরীরে পানির সাম্যতা বজায় রাখে। তরমুজে অ্যামিনো অ্যাসিড আছে, যা সাইট্রুলিন নামে পরিচিত। এই উপাদান রক্তচাপ কমাতে সাহায্য করে।
৪. আদা এক প্রকারের উদ্ভিদের মূল, যা ভেষজ গুণাবলীসমৃদ্ধ। আদার অনেক স্বাস্থ্য উপকারিতা রয়েছে। আদা উচ্চমাত্রার এলডিএল (খারাপ) কোলেস্টেরল কমাতে সাহায্য করে। এ ছাড়া রক্তে উচ্চ শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করে হার্টের অসুখের বিরুদ্ধে কাজ করে আদা।
৫. ওজন, রক্তচাপ কমাতে ও হাটের স্বাস্থ্য ভালো রাখে ওটস। ওটস হলো এক প্রকারের শস্যজাতীয় খাবার, যা সুস্থতার জন্য গুরুত্বপূর্ণ। ওটসে থাকা বিটা গ্লুকান ফাইবার রক্তে খারাপ কোলেস্টেরল বা এলডিএল-এর মাত্রা কমায়। এতে হার্ট ভাল থাকে এবং হৃদরোগের ঝুঁকি কমে।
৬. তৈলাক্ত মাছ হার্টের সমস্যা কমায়। তৈলাক্ত মাছে থাকা ওমেগা থ্রি ফ্যাটি অ্যাসিড রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ করে।
তথ্যসূত্র: মেডিকেল নিউজ টুডে

Post a Comment