দৈনন্দিন খাবারে অতিরিক্ত লবণ, বাড়ছে স্ট্রোক ও হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি

 লবণ ছাড়া রান্না কল্পনাই করা যায় না। তবে লবণ বেশি হলেও যেমন খাবারের স্বাদ নষ্ট হয়, কম হলেও খেতে ভালো লাগে না। অনেকের আবার আলাদা করে কাঁচা লবণ খাওয়ার অভ্যাসও রয়েছে। অথচ এই সাধারণ উপাদানই শরীরে বড় ধরনের বিপদের কারণ হতে পারে যদি তা মাত্রাতিরিক্ত খাওয়া হয়।সাধারণ খাবারের মাধ্যমেই শরীরে প্রয়োজনীয় সোডিয়াম প্রবেশ করে। কিন্তু অতিরিক্ত লবণ খেলে রক্তে সোডিয়ামের মাত্রা বেড়ে যায়। এর ফলেই বাড়ে উচ্চ রক্তচাপ, যা হৃদযন্ত্র ও রক্তবাহিকার ওপর চাপ সৃষ্টি করে। দীর্ঘদিন এমন অবস্থা চলতে থাকলে স্ট্রোক ও হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি কয়েকগুণ বেড়ে যায়।


অতিরিক্ত লবণ খাওয়ার ক্ষতিকর প্রভাব

পানি তেষ্টার প্রবণতা বাড়ে : শরীরে সোডিয়াম বেড়ে গেলে বেশি তেষ্টা পায়। এতে কিডনি ও লিভারের ওপর চাপ পড়ে।


কিডনির ক্ষতি হতে পারে : অতিরিক্ত সোডিয়াম কিডনির স্বাভাবিক কাজ ব্যাহত করে। দীর্ঘমেয়াদে কিডনি বিকল হওয়ার আশঙ্কা তৈরি হয়।


শরীরে পানি জমা (ওয়াটার রিটেনশন) : বেশি লবণ খেলে শরীরে তরল জমতে থাকে। ফলে পায়ের পাতা, গোড়ালি বা হাত ফুলে যায়। প্রদাহও হতে পারে।


ঘন ঘন প্রস্রাব : লবণ বেশি খেলে প্রস্রাবের প্রবণতা বেড়ে যায়। এতে শরীর থেকে দরকারি খনিজ বেরিয়ে যেতে পারে।


অস্টিয়োপোরোসিসের ঝুঁকি : অতিরিক্ত লবণ খাওয়ার ফলে প্রস্রাবের সঙ্গে ক্যালসিয়াম বেরিয়ে যায়। এতে হাড় দুর্বল হয়ে হাড় ক্ষয়ের বিশেষজ্ঞরা বলছেন, একজন প্রাপ্তবয়স্ক মানুষের দিনে ৫ গ্রাম বা এক চা চামচের বেশি লবণ খাওয়া উচিত নয়। তাই স্বাদে সামান্য ছাড় দিলেই দীর্ঘমেয়াদে পাওয়া যাবে সুস্থ জীবন।ঝুঁকি বাড়ে।

Countdown Timer
00:01

Post a Comment

Previous Post Next Post