ধূমপায়ী বাবার কারণে শিশুদের যে ভয়ংকর ৫টি রোগ হতে পারে!

 শিশুদের সামনে ধূমপান করা তাদের স্বাস্থ্যের জন্য মারাত্মক ক্ষতিকর। অনেকেই মনে করেন, ঘরের বাইরে ধূমপান করলে শিশুরা সুরক্ষিত থাকে। কিন্তু সিগারেটের ধোঁয়া এতটাই ক্ষতিকর যে, এর প্রভাব সহজে দূর হয় না। এই ধোঁয়া জামাকাপড়, আসবাবপত্র, কার্পেট এবং অন্যান্য বস্তুতে লেগে থাকে, যা থেকে শিশুরা পরোক্ষভাবে প্রভাবিত হয়। এই বিষয়টিকে বলা হয় থার্ড-হ্যান্ড স্মোক (Third-hand Smoke)।শিশুদের সুরক্ষা নিশ্চিত করতে ধূমপানের যে প্রভাবগুলো আপনি হয়তো ভাবেননি, সেগুলো নিচে তুলে ধরা হলো:


১. শ্বাসতন্ত্রের রোগ

শিশুদের ফুসফুস এবং শ্বাসনালী এখনও সম্পূর্ণরূপে বিকশিত হয় না। এর ফলে তারা প্রাপ্তবয়স্কদের চেয়ে সিগারেটের ধোঁয়ার প্রতি বেশি সংবেদনশীল হয়। শিশুদের সামনে ধূমপান করলে তাদের অ্যাজমা, ব্রঙ্কাইটিস, নিউমোনিয়া এবং কানের সংক্রমণের ঝুঁকি বেড়ে যা২. সাডেন ইনফ্যান্ট ডেথ সিনড্রোম (SIDS)

গবেষণায় দেখা গেছে, যে শিশুরা ধূমপায়ী বাবা-মায়ের সঙ্গে একই ঘরে থাকে, তাদের সাডেন ইনফ্যান্ট ডেথ সিনড্রোম বা SIDS-এ আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি অনেক বেশি। SIDS হলো এমন একটি অবস্থা যেখানে সুস্থ শিশু ঘুমের মধ্যে হঠাৎ করে মারা যায়, যার কারণ প্রায়শই অজানা থাকে. স্নায়ুতন্ত্রের বিকাশ

ধূমপানের বিষাক্ত রাসায়নিকগুলো শিশুদের মস্তিষ্কের বিকাশে বাধা দিতে পারে। এর ফলে শিশুদের শেখার ক্ষমতা, আচরণ এবং বুদ্ধিমত্তা প্রভাবিত হতে পারে। দীর্ঘমেয়াদী এক্সপোজারের ফলে তাদের মনোযোগের অভাব এবং হাইপারঅ্যাকটিভিটির মতো সমস্যা দেখা দিতে পারে৪. রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা দুর্বল হওয়া

শিশুদের ইমিউন সিস্টেম বা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা ধোঁয়ার কারণে দুর্বল হয়ে যায়। এর ফলে তারা সহজেই বিভিন্ন সংক্রমণ এবং অসুস্থতায় আক্রান্ত হয়৫. আচরণগত সমস্যা

ধূমপায়ী বাবা-মায়ের সঙ্গে থাকা শিশুদের মধ্যে আচরণগত সমস্যা দেখা যায়। যেমন: আক্রমণাত্মক আচরণ, জেদি ভাব এবং মানসিক অস্থিরতাসমাধান কী?

শিশুদের সুরক্ষা নিশ্চিত করতে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ হলো ধূমপান পুরোপুরি ত্যাগ করা। যদি তা সম্ভব না হয়, তবে:


শিশুদের থেকে দূরে থাকুন: শিশুদের সামনে বা একই ঘরে কখনোই ধূমপান করবেন না।


বাইরে ধূমপান করুন: বাড়ির বাইরে, বিশেষ করে খোলামেলা জায়গায় ধূমপান করুন।


হাত ও মুখ পরিষ্কার করুন: ধূমপানের পর ভালোভাবে হাত, মুখ এবং দাঁত পরিষ্কার করুন।


পোশাক পরিবর্তন করুন: ধূমপানের পর সেই পোশাকে শিশুদের কাছে যাবেন না। পোশাক পরিবর্তন করে তবেই তাদের মনে রাখবেন, শিশুদের জন্য একটি সুস্থ পরিবেশ নিশ্চিত করা আপনার দায়িত্ব।

Countdown Timer
00:01

Post a Comment

Previous Post Next Post