ক্যান্সারের ঝুঁকি কমাতেও ভিটামিন ডি গুরুত্বপূর্ণ

 কোলোরেক্টাল ক্যান্সার বিশ্বব্যাপী একটি বড় স্বাস্থ্য সমস্যা, যা সবচেয়ে সাধারণ ক্যান্সারের মধ্যে একটি। সম্প্রতি প্রকাশিত এক ব্যাপক গবেষণায় ভিটামিন ডির ভূমিকার ওপর আলোকপাত করা হয়েছে। গবেষণায় দেখা গেছে, যাদের দেহে ভিটামিন ডির পরিমাণ বেশি, তাদের কোলোরেক্টাল ক্যান্সারের ঝুঁকি কম থাকে। এটি কোষ বৃদ্ধিকে ধীর করে এবং টিউমারের বিকাশ প্রতিরোধে সাহায্য করেবিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (WHO) জানিয়েছে, কোলোরেক্টাল ক্যান্সার বিশ্বব্যাপী তৃতীয় সর্বাধিক সাধারণ ক্যান্সার এবং এটি প্রায় ১০% ক্যান্সার কেসের জন্য দায়ী। এটি ক্যান্সার-সংক্রান্ত মৃত্যুর দ্বিতীয় প্রধান কারণ। বিশেষত পশ্চিমা জীবনধারা ও খাদ্যাভ্যাস অনুসরণকারী দেশে ক্যান্সারটি বেশি দেখা যায়।যুক্তরাষ্ট্রে কোলোরেক্টাল ক্যান্সার পুরুষ ও মহিলাদের মধ্যে তৃতীয় সর্বাধিক নির্ণীত ক্যান্সার। এই ক্যান্সার কোলন ও রেকটামকে প্রভাবিত করে।


২০২৫ সালের এপ্রিল মাসে প্রকাশিত গবেষণায় “Vitamin D and Colorectal Cancer Prevention: Immunological Mechanisms, Inflammatory Pathways, and Nutritional Implications” শিরোনামে প্রকাশিত হয়েছে। গবেষণায় প্রাথমিকভাবে ১০,০০০-এর বেশি স্টাডি মূল্যায়ন করা হয়, কিন্তু ডুপ্লিকেট ও প্রাসঙ্গিকতার ভিত্তিতে ৫০টি গবেষণাকে চূড়ান্ত করা হয়। এতে প্রাপ্ত ফলাফলে দেখা গেছে, ভিটামিন ডি সাপ্লিমেন্ট গ্রহণকারী বা ক্যান্সারের প্রাক-লক্ষণসহ প্রাপ্তবয়স্কদের মধ্যে ক্যান্সারের ঝুঁকি কম থাকে।


ভিটামিন ডি, যা ‘সানশাইন ভিটামিন’ হিসাবেও পরিচিত, শরীরের অনেক ফাংশনের জন্য অপরিহার্য। এটি স্নায়ু কোষের সংযোগে সাহায্য করে, রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখে, অন্ত্রের স্বাস্থ্য বজায় রাখে এবং শ্বাসনালী সংক্রমণ থেকে রক্ষা করে। গবেষণায় দেখা গেছে, ভিটামিন ডি অনিয়ন্ত্রিত কোষ বৃদ্ধিকে ধীর করে, টিউমারের রক্তনালী গঠন (angiogenesis) ব্লক করে এবং অস্বাভাবিক কোষের প্রাকৃতিক মৃত্যু (apoptosis) উৎসাহিত রিভিউ অনুযায়ী, যাদের দেহে ভিটামিন ডি কম, তাদের কোলোরেক্টাল ক্যান্সারের ঝুঁকি বেশি। ৩১টি স্টাডির মেটা-অ্যানালাইসিসে দেখা গেছে, যাদের ভিটামিন ডি গ্রহণ সর্বোচ্চ (৮০ ng/mL), তাদের ক্যান্সারের ঝুঁকি ২৫% কম ছিল। নর্সেস হেলথ স্টাডিতে দেখা গেছে, সর্বোচ্চ ভিটামিন ডি গ্রহণকারী মহিলাদের ক্যান্সারের ঝুঁকি ৫৮% কম।


ভিটামিন ডি সাপ্লিমেন্ট নেওয়া উচিত কি না?


সাপ্লিমেন্ট নেওয়ার আগে রক্ত পরীক্ষা করিয়ে ভিটামিন ডি স্তর জানা উচিত। প্রয়োজন হলে চিকিৎসকের পরামর্শে খাবার বা সাপ্লিমেন্ট নির্বাচন করা উচিত। অতিরিক্ত গ্রহণও ক্ষতিকর হতে পারে, তাই ব্যক্তিগত প্রয়োজন অনুযায়ী সাপ্লিমেন্ট নেওয়া উত্তম।


কাদের ঝুঁকিভিটামিন ডি-এর অভাব ছাড়াও উচ্চ বয়স, শারীরিক অনিয়মিত জীবনধারা, স্থূলতা, ফাইবার কম এবং প্রক্রিয়াজাত মাংসের বেশি খাদ্য কোলোরেক্টাল ক্যান্সারের ঝুঁকি বাড়ায়।


ভিটামিন ডি পর্যবেক্ষণের পাশাপাশি জীবনধারার পরিবর্তন করলে ক্যান্সারের ঝুঁকি কমানো সম্ভব। বেশি?করে।

Countdown Timer
00:01

Post a Comment

Previous Post Next Post