লিভারের ওপর মেদ জমাকে বলা হয় ফ্যাটি লিভার ডিজিজ। এটি দুই ধরনের হয়ে থাকে মেটাবলিক ডিসফাংশন সম্পর্কিত ও অ্যালকোহল সম্পর্কিত। এ রোগে হজমে সমস্যা, বমিভাব, পেটব্যথা, অস্বস্তিসহ নানা উপসর্গ দেখা দিতে পারে।বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ফ্যাটি লিভারের অন্যতম প্রধান কারণ হলো স্থূলতা বা ওবেসিটি। পাশাপাশি অনিয়ন্ত্রিত জীবনযাপন, অ্যালকোহল গ্রহণ, বেহিসেবি খাওয়াদাওয়া, ডায়াবেটিস এবং রক্তে খারাপ কোলেস্টেরল বেড়ে গেলেও এ রোগের ঝুঁকি বাড়ে।ফ্যাটি লিভারের কারণে শুধু লিভারই নয়, শরীরের আরও ৩টি অঙ্গ ঝুঁকিতে পড়ে পা, গোঁড়ালি ও পেট।
🔹 পা ও গোঁড়ালি
দীর্ঘদিন ধরে পা ফুলে থাকা লিভারের রোগের একটি লক্ষণ হতে পারে। লিভারের সমস্যায় শিরাগুলোতে চাপ সৃষ্টি হয়, ফলে রক্তপ্রবাহে বাধা তৈরি হয়। এতে কিডনি শরীর থেকে বাড়তি তরল পরিশোধন করে বের করতে পারে না, যার ফলে পা ও গোঁড়ালি ফুলে যালিভার
হরমোনের ভারসাম্যহীনতার কারণে লিভারের আশপাশে অস্বাভাবিক পরিবর্তন দেখা দিতে পারে। এতে বুকের দেয়াল বা পেশি পর্যন্ত বেড়ে যেতে পারেপেট
লিভারের রক্তনালিতে প্রদাহ সৃষ্টি হলে সেগুলোর ভেতরে চাপ বাড়ে। এর ফলে রক্তনালি থেকে তরল বের হয়ে পেটে জমতে থাকে। এতে পেট ফুলে যায় ও ব্যথা হয়। চিকিৎসাবিজ্ঞানে একে অ্যাসাইটিস বলা হয়কোন খাবার লিভারের জন্য উপকারী?
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ফ্যাটি লিভার মোকাবেলায় খাদ্যাভ্যাস পরিবর্তন জরুরি। উপকারী কিছু খাবার হলো—
কাঁচা হলুদ : রান্না না করে থেঁতো করে খেলে লিভার থেকে ফ্যাট কমায়।
কফি : গবেষণায় দেখা গেছে, কফি লিভারের ফ্যাট হ্রাসে সহায়ক।
শস্যদানা : বাজরা, রাগি ও ছাতু রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করে। তবে গম এড়িয়ে চলা উচিত।
কালো ছোলা : খোসাসহ খেলে লিভারের জন্য বিশেষ উপকারী।
আখরোট : প্রতিদিন ৩০ গ্রাম আখরোট লিভারের স্বাস্থ্য রক্ষায় সহায়তা করে।
আপেল : খোসাসহ খেলে শরীরকে রোগ প্রতিরোধে প্রস্তুত করে।
রঙিন সবজি : বিট ও বাঁধাকপির মতো সবজি লিভারের সুরক্ষায় কার্যকর
Post a Comment