নামাজ ইসলামের পঞ্চস্তম্ভের অন্যতম। এটি আদায় করা প্রত্যেক প্রাপ্তবয়স্ক নারী ও পুরুষের জন্য ফরজ। এছাড়া ওয়াজিব ও সুন্নত নামাজের বাইরে কিছু নফল নামাজও আছে। যতই ব্যস্ততা থাকুক না কেন, সময়মতো নামাজ পড়া প্রত্যেক মুসলমানের ওপর ফরজ।অনেকে জানতে চান, কাজা নামাজ আদায় করার নিয়ম
এর উত্তরে ফুকাহায়ে কেরাম বলেন, ভুলবশত, অপারগ হয়ে কোনো ওয়াক্তের নামাজ আদায় করতে না পারলে পরবর্তী সময়ে এই নামাজ আদায় করে দিতে হয়। আর এই নামাজ আদায়কে কাজা নামাজ বলা ফরজ কিংবা ওয়াজিব নামাজ ছুটে গেলে, সে নামাজের কাজা আদায় করা আবশ্যক। সুন্নত কিংবা নফল নামাজ আদায় করা না গেলে, সেটার কাজা আদায় করতে হয় না। মহান আল্লাহ পবিত্র কোরআনে বলেন,
নামাজ মুমিনের জন্য নির্দিষ্ট সময়ে ফরজ। (সুরা নিসা: ১০১. কোনো ওজর ছাড়া নামাজ সময় থেকে দেরি করা জায়েজ নেই। (বুখারি: ৪৯৬)
২. ফরজের কাজা ফরজ। আর ওয়াজিবের কাজা ওয়াজিব। (বুখারি: ১৮১৬)
৩. সুন্নত আর নফলের কাজা করবে না। তবে সুন্নত বা নফল নামাজ আরম্ভ করার পর ভেঙে গেলে তা কাজা করা আবশ্যক। (তিরমিজি: ৬৬৭)
৪. যদি ফজরের সুন্নত ফজরের ফরজসহ কাজা হয়ে যায়, তবে সূর্য ঢলে যাওয়ার আগে আগে ফরজের সঙ্গে সুন্নতও কাজা করবে। (আবু দাউদ: ৫. যদি কাজা নামাজ বেশি হয় তখন কাজা পড়ার সময় প্রতিটি নামাজকে পৃথকভাবে কাজা করতে হবে। যদি নির্ধারণ করা কষ্টসাধ্য হয়, তবে এভাবে নিয়ত করবে যে- আগে ছুটে যাওয়া জোহরের নামাজ পড়ছি বা পরে ছুটে যাওয়া জোহর বা আসর পড়ছি। (বুখারি: ০১)৭৫)৩)হয়।
Post a Comment