মূত্রথলি দুর্বল? প্রতিদিনের ছোট্ট অভ্যাসেই মিলবে বড় সমাধান

 হঠাৎ জোরে হেসে ওঠা, হাঁচি দেওয়া বা টয়লেটে যাওয়ার আগেই প্রস্রাব ধরে রাখতে না পারার অভিজ্ঞতা অনেকেরই হয়ে থাকে। এনএইচএস-এর (NHS) তথ্যানুসারে, যুক্তরাজ্যে প্রায় ১ কোটি ৪০ লাখ মানুষ ইউরিনারি ইনকন্টিনেন্স বা মূত্রথলি নিয়ন্ত্রণ হারানোর সমস্যায় ভুগছেন। তবুও, এ নিয়ে খোলাখুলি কথা বলতে অনেকে লজ্জাবোধ করেন।


তবে বিশেষজ্ঞরা বলছেন, সঠিক জীবনযাপন, দৈনন্দিন কিছু অভ্যাস এবং সহজ কিছু ব্যায়ামের মাধ্যমে এ সমস্যাকে নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব। নিয়মিত পেলভিক ফ্লোর ব্যায়াম থেকে শুরু করে খাদ্যাভ্যাসে পরিবর্তন-বিভিন্ন উপায়ে মূত্রথলি শক্তিশালী করা যায় এবং অনাকাঙ্ক্ষিত ঝুঁকি কমানো সম্ভনিচে দেওয়া হলো মূত্রথলির নিয়ন্ত্রণ হারানো ঠেকাতে ও আত্মবিশ্বাস ফিরে পেতে ১০টি সহজ ও প্রমাণিত উপায়:


১. পেলভিক ফ্লোর শক্ত করুন

পেলভিক ফ্লোর এক্সারসাইজ বা কেগেলস দীর্ঘমেয়াদে সবচেয়ে কার্যকর পদ্ধতি। নিয়মিত অনুশীলনে মূত্রপাতের সমস্যা উল্লেখযোগ্যভাবে কমে আ২. ব্লাডার ট্রেনিং করুন

প্রস্রাবের তাগিদ বারবার অনুভূত হলে ধীরে ধীরে টয়লেট ব্যবধান বাড়ানোর অভ্যাস তৈরি করুন। এতে ব্লাডারের ধারণক্ষমতা বাড়ে৩. পানীয়তে সচেতনতা

অতিরিক্ত কফি, অ্যালকোহল বা কার্বনেটেড ড্রিংকস মূত্রথলি উত্তেজিত করে। তাই পানি ও হারবাল চা-কে অগ্রাধিকার দিন৪. ওজন নিয়ন্ত্রণ করুন

অতিরিক্ত ওজন পেলভিক ফ্লোরে চাপ ফেলে। অল্প ওজন কমালেও মূত্র নিয়ন্ত্রণে সহায়তা করে।


৫. ধূমপান ত্যাগ করুন

ধূমপানের কারণে সৃষ্ট দীর্ঘস্থায়ী কাশি পেলভিক মাংসপেশি দুর্বল করে। ধূমপান ছাড়লে এ ঝুঁকি কমে।


৬. কোষ্ঠকাঠিন্য নিয়ন্ত্রণ করুন

শৌচকালে অতিরিক্ত চাপ দিলে পেলভিক ফ্লোর দুর্বল হয়। ফল, সবজি, শস্যজাত খাবার খাওয়া ও পর্যাপ্ত পানি পান করে এ সমস্যা এড়া৭. সক্রিয় থাকুন

হাঁটা, যোগব্যায়াম বা সাঁতার ওজন নিয়ন্ত্রণে সহায়ক এবং পেশি শক্ত রাখে। তবে অতিরিক্ত ঝাঁপঝাঁপি ব্যায়াম এড়িয়ে চলা উচিত।


৮. নির্দিষ্ট সময় ধরে টয়লেট ব্যবহার করুন

প্রতিবার তাগিদ অনুভূত হওয়ার অপেক্ষা না করে ২–৩ ঘণ্টা পরপর নিয়মিত টয়লেটে যাওয়া অভ্যাস করুন।


৯. সঠিক পোশাক ও সুরক্ষা ব্যবহার করুন

আধুনিক ডিসপোজেবল লাইনার বা শোষণক্ষম অন্তর্বাস ব্যবহার করে বাইরে আত্মবিশ্বাসী থা১০. প্রয়োজনে চিকিৎসকের শরণাপন্ন হন

সমস্যা দৈনন্দিন জীবনে প্রভাব ফেললে চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে। প্রয়োজনে তিনি ওষুধ, ফিজিওথেরাপি কিংবা অস্ত্রোপচারের মতো সমাধান দিতে পারেন।

Countdown Timer
00:01

Post a Comment

Previous Post Next Post