মুখ খুলে ঘুমানো: সাধারণ অভ্যাস নাকি স্বাস্থ্যঝুঁকির সংকেত?

 অনেকে খাটের উপরে ঘুমানোর সময় মুখ খোলা রাখেন। সাধারণত এটা ছোটখাটো অভ্যাস মনে হলেও বিশেষজ্ঞরা বলছেন, কিছু ক্ষেত্রে মুখ খোলা ঘুমানো শরীরের গুরুতর সমস্যার প্রাথমিক লক্ষণ হতে পারে।১. নিঃশ্বাসের সমস্যা

ওটোরিনোল্যারিংজোলজিস্টদের মতে, মুখ খোলা ঘুমানো সাধারণত নাক দিয়ে স্বাভাবিকভাবে শ্বাস নিতে না পারার কারণে হয়। নাকের সংক্রমণ, সাইনাসের সমস্যা, বা পলিপ থাকলেও এ সমস্যা দেখা দিতে পারে। দীর্ঘমেয়াদে এটি ঘুমের গুণগত মান কমিয়ে তুলতে পারে।


২. স্লিপ অ্যাপনিয়া (ঘুমের সময় শ্বাসরোধ)

ঘুমের মধ্যে শ্বাস বন্ধ বা কম হওয়া মানে স্লিপ অ্যাপনিয়া। মুখ খোলা ঘুমানো এই রোগের একটি উল্লেখযোগ্য লক্ষণ হতে পারে। এতে হঠাৎ জেগে ওঠা, সারাদিন ক্লান্তি, মাথা ব্যথা ও রক্তচাপ বৃদ্ধি দেখা দিতে পারে। বিশেষজ্ঞরা সতর্ক করেছেন, চিকিৎসা না নিলে দীর্ঘমেয়াদে হৃদরোগ, ডায়াবেটিস এবং স্ট্রোকের ঝুঁকি বাড়তে পা৩. দাঁতের ও মাড়ির সমস্যা

মুখ খোলা থাকার কারণে দাঁত শুকিয়ে যায়, লালা কম উৎপাদিত হয়। এতে দাঁতের ক্ষয়, মাড়ির সংক্রমণ এবং মুখে দুর্গন্ধের সমস্যা দেখা দেয়৪. নার্ভ ও পেশি সমস্যা

অনেক সময় মুখ খোলা ঘুমানো মুখের পেশি দুর্বলতা বা স্নায়ু সমস্যার কারণে হতে পারে। যেমন মুখের একপাশ ঢিলা হয়ে যাওয়া, স্নায়ুর আংশিক ক্ষতি ইত্যাদিনিরাপদ থাকার পরামর্শ


ঘুমের সময় নাক ঠিকমতো শ্বাস নিতে পারছেন কিনা তা পরীক্ষা করুন। দীর্ঘমেয়াদে মুখ খোলা ঘুমানো, ঘুমের সমস্যা বা ক্লান্তি থাকলে স্লিপ টেস্টের মাধ্যমে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন। নিয়মিত দাঁত ও মুখের স্বাস্থ্য পরীক্ষা করান। ঘুমের জন্য সঠিক কুশন ও পজিশন বজায় রাখুন।


ডাক্তারদের মতে, মুখ খোলা ঘুমানো শুধুমাত্র অভ্যাস নয়, এটি কখনও কখনও শরীরের গুরুতর সমস্যার প্রাথমিক সংকেত। তাই অবহেলা না করে সময়মতো পরীক্ষা করানো গুরুত্বপূর্ণ

Countdown Timer
00:01

Post a Comment

Previous Post Next Post