আমাদের দৈনন্দিন জীবনে শক্তি ও উদ্যম ধরে রাখা খুব জরুরি। অনেক সময় দেখা যায় সকাল থেকে কাজ শুরু করলেও দুপুরের আগেই শরীর ক্লান্ত হয়ে আসে। এর বড় একটি কারণ হলো খাবারে ভারসাম্য না থাকা। সকালে অনেকেই শুধু চা বিস্কুট খেয়ে দিন শুরু করেন, আবার কেউ শুধু ভাত কিংবা পরোটা খেলেও শরীর ভারী লাগে। অথচ যদি সকালের খাবারে শাক-সবজি রাখা যায়, তাহলে শরীর শুধু হালকা থাকে না, বরং দীর্ঘসময় পর্যন্ত শক্তি জোগায়
শাক-সবজিতে প্রাকৃতিক ভিটামিন, খনিজ এবং আঁশ থাকে যা শরীরকে সুস্থ রাখতে সাহায্য করে। সকালে খেলে এগুলো সহজে হজম হয় এবং শরীরে দ্রুত শোষিত হয়। ফলে রক্তে প্রয়োজনীয় গ্লুকোজের যোগান ঠিক থাকে, যা এনার্জি ধরে রাখার জন্য সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। শুধু তাই নয়, শাক-সবজির মধ্যে যে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট আছে, তা শরীরকে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সহায়তা করে। তাই যারা সকালে নিয়মিত শাক-সবজি খান, তারা সারাদিন কর্মক্ষম শাক-সবজিতে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার থাকে যা হজম শক্তি বাড়ায়। সকালে হালকা শাক যেমন লাল শাক, পুঁইশাক, পালং শাক কিংবা ধনেপাতা দিয়ে রান্না করা তরকারি খেলে পেট ভরেও থাকে আবার হজমেও আরাম লাগে। এতে করে দুপুর পর্যন্ত পেট ভারী বা অস্বস্তিকর অনুভূতি হয় না। অনেক সময় সকালে ভারী খাবার খেলে কাজে মনোযোগ থাকে না, বরং শরীর ক্লান্ত লাগে। শাক-সবজি এ সমস্যা দূর করে।
এছাড়া শাক-সবজিতে প্রচুর পানি থাকে যা শরীরকে হাইড্রেটেড রাখে। বিশেষ করে গরমের দিনে সকালে শসা, টমেটো, লাউ, করলা বা বেগুন জাতীয় সবজি খেলে শরীর ঠান্ডা থাকে। এতে ঘাম ঝরলেও শরীর দ্রুত পানিশূন্য হয় না। পানিশূন্যতা কমে গেলে মাথা ব্যথা, ক্লান্তি ও কাজের প্রতি অনাগ্রহ তৈরি হয়। তাই শাক-সবজি এ দিক থেকেও শরীরকে সজীব রাখে।
অনেকেই ভেবে থাকেন শুধু ভাত বা রুটি খেলে শরীর শক্তি পায়। এটা আংশিক সত্য হলেও একা কার্বোহাইড্রেট দীর্ঘস্থায়ী এনার্জি দিতে পারে না। শাক-সবজি সেই ঘাটতি পূরণ করে। কারণ এগুলোতে জটিল কার্বোহাইড্রেট ও প্রোটিনের কিছু অংশ থাকে যা ধীরে ধীরে শক্তিতে রূপান্তরিত হয়। ফলে হঠাৎ করে শরীর দুর্বল লাগে না, বরং একটানা কাজ করার মতো শক্তি পাওয়া সকালে শাক-সবজি খেলে মানসিক শক্তিও বাড়ে। ভিটামিন বি-কমপ্লেক্স, আয়রন এবং ম্যাগনেসিয়াম মস্তিষ্কের কার্যক্ষমতা ভালো রাখে। যারা সকালে শাক-সবজি খান তারা মনোযোগ ধরে রাখতে পারেন এবং মানসিক চাপও কম অনুভব করেন। এ কারণেই শিক্ষার্থী কিংবা যারা অফিসে দীর্ঘসময় কাজ করেন তাদের জন্য সকালে শাক-সবজি খাওয়া খুব উপকারী।
সুস্থ শরীরের পাশাপাশি সুন্দর ত্বক ও চুলের জন্যও শাক-সবজির বিকল্প নেই। সকালে শাক-সবজি খাওয়ার ফলে শরীরে জমে থাকা টক্সিন সহজে বের হয়ে যায়। এতে ত্বকে উজ্জ্বলতা আসে এবং ব্রণ কিংবা বিভিন্ন চর্মরোগের ঝুঁকি কমে যায়। আবার পর্যাপ্ত ভিটামিন এ ও সি ত্বককে সতেজ রাখে এবং চুলকে মজবুত করে।
শুধু রান্না করা সবজি নয়, সালাদ হিসেবেও সকালে সবজি খাওয়া যায়। শসা, গাজর, টমেটো, বিট কিংবা পাতাযুক্ত শাক দিয়ে তৈরি সালাদ সকালের নাশতার সঙ্গে খেলে শরীরে বাড়তি সতেজতা আসে। অনেক সময় যারা ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখতে চান তাদের জন্যও শাক-সবজি খুব উপকারী। এতে ক্যালোরি কম থাকে কিন্তু পুষ্টি অনেক বেশি। ফলে ওজন বাড়ার ভয় থাকে না, বরং স্বাস্থ্য ভালো থাকে।
আমাদের দেশের গ্রামাঞ্চলে অনেক পরিবার সকালেই শাক-সবজি দিয়ে ভাত বা রুটি খেয়ে কাজ শুরু করেন। তারা মাঠে দীর্ঘসময় কাজ করলেও সহজে ক্লান্ত হন না। এর মূল রহস্য হলো শরীরের ভেতরে প্রাকৃতিক শক্তির সঞ্চয়। আজকের শহুরে জীবনে আমরা সেই অভ্যাস অনেকটা ভুলে গেছি। কিন্তু যদি আবার সকালবেলার খাবারে শাক-সবজি যুক্ত করা যায় তাহলে শরীর ও মন দুটোই সতেজ লাইফস্টাইল
সকালে শাক-সবজি খেলে এনার্জি যোগায়
আমাদের দৈনন্দিন জীবনে শক্তি ও উদ্যম ধরে রাখা খুব জরুরি। অনেক সময় দেখা যায় সকাল থেকে কাজ শুরু করলেও দুপুরের আগেই শরীর ক্লান্ত হয়ে আসে। এর বড় একটি কারণ হলো খাবারে ভারসাম্য না থাকা। সকালে অনেকেই শুধু চা বিস্কুট খেয়ে দিন শুরু করেন, আবার কেউ শুধু ভাত কিংবা পরোটা খেলেও শরীর ভারী লাগে। অথচ যদি সকালের খাবারে শাক-সবজি রাখা যায়, তাহলে শরীর শুধু হালকা থাকে না, বরং দীর্ঘসময় পর্যন্ত শক্তি জোগায়।
শাক-সবজিতে প্রাকৃতিক ভিটামিন, খনিজ এবং আঁশ থাকে যা শরীরকে সুস্থ রাখতে সাহায্য করে। সকালে খেলে এগুলো সহজে হজম হয় এবং শরীরে দ্রুত শোষিত হয়। ফলে রক্তে প্রয়োজনীয় গ্লুকোজের যোগান ঠিক থাকে, যা এনার্জি ধরে রাখার জন্য সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। শুধু তাই নয়, শাক-সবজির মধ্যে যে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট আছে, তা শরীরকে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সহায়তা করে। তাই যারা সকালে নিয়মিত শাক-সবজি খান, তারা সারাদিন কর্মক্ষম থাকেন এবং সহজে অসুস্থও হন না।
শাক-সবজিতে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার থাকে যা হজম শক্তি বাড়ায়। সকালে হালকা শাক যেমন লাল শাক, পুঁইশাক, পালং শাক কিংবা ধনেপাতা দিয়ে রান্না করা তরকারি খেলে পেট ভরেও থাকে আবার হজমেও আরাম লাগে। এতে করে দুপুর পর্যন্ত পেট ভারী বা অস্বস্তিকর অনুভূতি হয় না। অনেক সময় সকালে ভারী খাবার খেলে কাজে মনোযোগ থাকে না, বরং শরীর ক্লান্ত লাগে। শাক-সবজি এ সমস্যা দূর করে।
এছাড়া শাক-সবজিতে প্রচুর পানি থাকে যা শরীরকে হাইড্রেটেড রাখে। বিশেষ করে গরমের দিনে সকালে শসা, টমেটো, লাউ, করলা বা বেগুন জাতীয় সবজি খেলে শরীর ঠান্ডা থাকে। এতে ঘাম ঝরলেও শরীর দ্রুত পানিশূন্য হয় না। পানিশূন্যতা কমে গেলে মাথা ব্যথা, ক্লান্তি ও কাজের প্রতি অনাগ্রহ তৈরি হয়। তাই শাক-সবজি এ দিক থেকেও শরীরকে সজীব রাখে।
অনেকেই ভেবে থাকেন শুধু ভাত বা রুটি খেলে শরীর শক্তি পায়। এটা আংশিক সত্য হলেও একা কার্বোহাইড্রেট দীর্ঘস্থায়ী এনার্জি দিতে পারে না। শাক-সবজি সেই ঘাটতি পূরণ করে। কারণ এগুলোতে জটিল কার্বোহাইড্রেট ও প্রোটিনের কিছু অংশ থাকে যা ধীরে ধীরে শক্তিতে রূপান্তরিত হয়। ফলে হঠাৎ করে শরীর দুর্বল লাগে না, বরং একটানা কাজ করার মতো শক্তি পাওয়া যায়।
সকালে শাক-সবজি খেলে মানসিক শক্তিও বাড়ে। ভিটামিন বি-কমপ্লেক্স, আয়রন এবং ম্যাগনেসিয়াম মস্তিষ্কের কার্যক্ষমতা ভালো রাখে। যারা সকালে শাক-সবজি খান তারা মনোযোগ ধরে রাখতে পারেন এবং মানসিক চাপও কম অনুভব করেন। এ কারণেই শিক্ষার্থী কিংবা যারা অফিসে দীর্ঘসময় কাজ করেন তাদের জন্য সকালে শাক-সবজি খাওয়া খুব উপকারী।
Post a Comment