ডিহাইড্রেশন বা পানিশূন্যতা বছরের যেকোনো সময় হতে পারে। তবে এটি গ্রীষ্ম ও বর্ষাকালে হওয়ার প্রবণতা দেখা যায়। শরীর থেকে বের হওয়া পরিমাণ পানি আবার শরীরে প্রবেশ করাতে না পারলেই পানিশূন্যতা হয়। সাধারণত অতিরিক্ত ঘাম বা বমি, ডায়েরিয়া বা সঠিক পরিমাণ তরল গ্রহণ না করলে এই পানিশূন্যতা হয়।
গ্রীষ্মকালে পানিশূন্যতার ঝুঁকি বেশি থাকে। আবার বৃষ্টির দিনে আর্দ্রতা বেশি থাকে, এ কারণে ঘাম প্রচুর হয়। এ পরিস্থিতিতে বর্ষা ঋতুতেও পানিশূন্যতা দেখা দেয়। এ সমস্যা দূর করতে পর্যাপ্ত পরিমাণ পানি পান করা জরুরি। কেউ কেউ দিনে ৩ থেকে ৪ লিটার পরিমাণ পানি পানের পরও পানিশূন্যতা বোধ করেন। ভারতীয় সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদন অনুযায়ী, এ সমস্যা নিয়ে কথা বলেছেন পুষ্টিবিদ শ্বেতা শাহ। তাহলে এ ব্যাপারে জেনে নেয়া যাক।
পানিশূন্যতা বোধের কারণ:
পুষ্টিবিদ শ্বেতা শাহ জানিয়েছেন, সাধারণত পানি শরীরের মধ্য দিয়ে খুব দ্রুত বয়ে যায়। কিন্তু এটি শরীরের কোষীয় স্তরে হাইড্রেট করে না। তবে এতে যখন লেবু বা পুদিনার মতো বিষয় যোগ করা হয়, তখন সোডিয়ামের পরিমাণ শরীরকে সেই পানি আরও ভালোভাবে ধরে রাখতে সহায়তা করে। এভাবে পানি পান করলে ঘন ঘন প্রস্রাব হবে না। ফলে হাইড্রেশন ভালো হবে এবং শক্তিও বৃদ্ধি পানিশূন্যতা রোধে করণীয়:
পানিশূন্যতা রোধে কী পরিমাণ পানি পান করতে হবে, সেটি গুরুত্বপূর্ণ নয়। তবে কীভাবে পানি পান করা হচ্ছে তা অবশ্যই গুরুত্বপূর্ণ। পানিশূন্যতার জন্য সাধারণ পানি ছাড়াও কিছু জিনিস শরীরকে হাইড্রেটেড রাখতে পারে। তা হচ্ছে ডাবের পানি। এতে ইলেক্ট্রোলাইট থাকে। যা আপনার শরীরকে হাইড্রেটেড রাখতে এবং ইলেক্ট্রোলাইটের মাত্রা বজায় রাখতে সহায়তা করে।
এছাড়া বিভিন্ন ফলমূল এবং সবজির রসও খেতে পারেন। ফলমূল ও সবজি প্রাকৃতিকভাবে তরলে ভরপুর থাকে। যা শরীরকে হাইড্রেটেড রাখার জন্য উপযুক্ত।পাবে।